দাম না কমলে মুরগি ও গরুর মাংস আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার: এফবিসিসিআই

২৩ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৯ এএম


দাম না কমলে মুরগি ও গরুর মাংস আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার: এফবিসিসিআই
সংগৃহিত ছবি

টাইমস ডেস্ক:

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) জানিয়েছে দাম না কমলে সরকার মুরগি ও গরুর মাংস আমদানির উদ্যোগ নেবে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় একথা জানান সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এ সময় অযৌক্তিক কারণে কোনো বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে, সেই বাজার সমিতির লাইসেন্স বাতিল করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

প্রতি বছর রোজা আসলেই দেশে বেড়ে যায় মাংস, তেল, চিনিসহ বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম। নানা আশ্বাস আর লোক দেখানো অভিযান চললেও, কাজের কাজ কিছুই হয় না। এমন পরিস্থিতিতে এবার রমজানে বাজার সহনশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই।

সভায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলেন, রোজায় সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কিন্তু দাম কেন বাড়ছে, তার সদুত্তর দিতে পারেনি কেউ। একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েই দায় সারছেন।

মুরগি ও গরুর মাংসের অতিরিক্ত দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে এদেশে দাম বেশি। এভাবে চলতে থাকলে মাংসের দাম কমাতে আমদানির উদ্যোগ নেবে সরকার।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এখন গরু ও পোল্ট্রির দাম অস্বাভা‌বিকভাবে বাড়তি। দে‌শীয় এ খাতকে বাঁচাতে এতদিন মাংস আমদা‌নি বন্ধ ছিল। আমদা‌নি করলে য‌দি বাজারে দাম কমে যায়, তাহলে আমদা‌নি করতে হ‌বে। মানুষ য‌দি ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে না পারে, তাহলে ইন্ডা‌স্ট্রির কথা চিন্তা করে লাভ নেই।

তিনি আরও বলেন, দুবাইয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা। কিন্তু দুবাইয়ে গরু উৎপাদন হয় না। তারা আমদানি করে যদি ৫০০ টাকা দি‌তে পারে, তাহলে আমরা উৎপাদন করে কেন এ‌ত দামে কিন‌ব? ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা কেজি। এখন যদি সরকার মনে করে আমদানি করলে দাম কম পড়বে, তাহলে আমদানি করবে।

এসময় রমজানে পণ্যের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়লে ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। তবে অবৈধভাবে কেউ যেন দাম বৃদ্ধি না করে, আমরাও সে বিষয়টি মনিটারিং করবো। কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ালে সংশ্লিষ্ট বণিক সমিতিকে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই বণিক সমিতির লাইসেন্স বাতিল করবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সহযোগিতা করা হবে।

মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি রয়েছে, ভোজ্যতেলও চাহিদার তুলনায় বেশি মজুদ আছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই।

এফবিসিসিআইয়ের সভায় বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকলেও, মুরগি ব্যবসায়ীদের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।


বিভাগ : অর্থনীতি