টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাংক ও ফিনটেকগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের তাগিদ

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১৮ পিএম | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম


টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যাংক ও ফিনটেকগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শিল্পায়নের মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য ব্যাংক ও ফিনটেক (ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি) কোম্পানিগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টখাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট তথ্য-প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের চলমান ধারার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে ভোক্তা সাধারণকে ফিনটেক সম্পর্কিত শিক্ষার আওতায় আনতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম চালুর পরামর্শ দেন।

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘ব্যাংক-ফিনটেক কোলাবোরেশন: এ উইন-উইন সিচ্যুয়েশন’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এ তাগিদ দেন। বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন ফর কনজিউমারস্ অ্যান্ড ইনভেস্টরস (বিজেএফসিআই) এবং দ্যা বাংলাদেশ এক্সপ্রেস যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে।

বিজেএফসিআই’র প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এতে ফাইন্যান্সিয়াল হেরাল্ডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইফুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবলী রোবায়াত উল ইসলাম, প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিকশের পক্ষে কাদির কামাল, শিওর ক্যাশের সিইও ড. শাহাদত খান, এক্সিম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ এবং কোনা এসএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনাওয়ার হোসেন তানজিল আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্ব নগদবিহীন সমাজে পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের ধারা থেকে বের হয়ে এসে মানুষ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেছে। আগামী দিনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নগদ লেনদেনের কোনো সুযোগ থাকবে না। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও নগদবিহীন (ঈধংযষবংং) সমাজ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে বাংলাদেশের শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তরুণ ভোক্তা গোষ্ঠি ক্রমেই নগদবিহীন লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেছে। তারা মোবাইল ব্যাংকিং, বিভিন্ন ধরণের ক্রেডিট অ্যাপস্ ও ফাইন্যান্সিয়াল টুলস্ ব্যবহার করে স্মার্ট কাস্টমার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে গ্রামকে শহরে পরিণত করা হবে এবং গ্রাম পর্যায়ে সব ধরণের আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান সরকার ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে ই-সেবার আওতায় এনেছে বলে তিনি জানান।

সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষা এবং ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন প্রটেকশনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ফিনটেকগুলোকে জনবান্ধব কাস্টমার সেবা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর সংযোগের মাধ্যমে দ্রুত ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। তিনি এ লক্ষ্যে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা এবং দায়িত্বশীল ব্যবসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এর আগে মন্ত্রী ১১টি ব্যাংকের সিইওদের লেখা নিবন্ধ নিয়ে দ্যা বাংলাদেশ এক্সপ্রেসের বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন।

 


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও