লবণ চাষিদের রক্ষায় প্রয়োজনে ভর্তুকি দেবে সরকার: শিল্পমন্ত্রী

০৬ মার্চ ২০২০, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ এএম


লবণ চাষিদের রক্ষায় প্রয়োজনে ভর্তুকি দেবে সরকার: শিল্পমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

অর্থনীতি ডেস্ক:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি বলেছেন, প্রয়োজন হলে সরকার লবণ চাষিদের রক্ষার জন্য ভর্তুকি দেবে। যদি আমরা সারে ভর্তুকি দিতে পারি, লবণেও দিতে পারব। লবণ চাষিদের বাঁচাতে হবে। বড় বড় ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেব, আর আমার প্রান্তিক চাষিরা মরে যাবে, তা হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লবণ চাষিদের জন্য চিন্তা করেন। শুক্রবার (৬ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠিত লবণ চাষি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের লবণ চাষিরা অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে উপস্থিত লবণ চাষিদের উদ্দেশ্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে মন্ত্রণালয় থেকে যারা লবণ চাষি, লবণ চাষের সাথে সম্পৃক্ত, তাদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করেছি। আপনাদের দাবিগুলো আমাদেরও দাবি, সরকারের দাবি। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে আজকে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিসিককে নির্দেশ দিয়েছেন, লবণ চাষিদের বাঁচাতে হবে। এটার জন্য যা যা করণীয় তা যেন করা হয়। কাজেই আমার মনে হয় না যে আপনাদের দাবি-দাওয়ার আর কোন প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, আজকের পত্রিকায় দেখলাম চীন থেকে, ভারত থেকে সোডিয়াম আমদানি করে বাজার সয়লাব করা হচ্ছে। এটাকে প্রোটেক্ট করতে হবে। লবণ আমাদের একটা বিশাল শিল্প। এটাকে আমরা শেষ করে দিতে পারি না। আজকে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ছোট ব্যবসায়ীদের গিলে খাচ্ছে। এটাকে প্রটেক্ট করার জন্য উপায়গুলো আমরা বের করছি।

লবণ চাষিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে মূল অর্থনীতি আবর্তিত হয় লবণ শিল্পকে নিয়ে। এটা সরকার এবং শিল্প মন্ত্রণালয় অবহিত আছে। লবণ চাষিদের দাবি-দাওয়াগুলোর স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা কাজ করবো। আপনারা লবণ বোর্ডের দাবি করেছেন। যদি প্রয়োজন হয় আমরা লবণ বোর্ড করবো। আমরা অবশ্য এর প্রয়োজনীয়তা যাচাই-বাছাই করে দেখবো।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমিও কিন্তু আপনাদের লবণ শিল্পের একজন চাষি। ১৯৮৬ সালে এরশাদের সময়ে আমি যখন তরুণ এমপি ছিলাম, তখন লবণ চাষিদের নিয়ে কাজ করতে এখানে এসেছি। আমি তখন সংসদীয় কমিটিতে ছিলাম। চকরিয়াতে আমার লবণ চাষের জমি আছে। আমি চাষি। কাজেই আপনাদের স্বার্থ আমি দেখবো।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, শফিক মিয়া, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান প্রমুখ।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও