কাঁচা চামড়া রপ্তানির প্রক্রিয়া সহজ নয়: বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন

১৭ আগস্ট ২০১৯, ০৬:৩১ পিএম | আপডেট: ০৮ মে ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম


কাঁচা চামড়া রপ্তানির প্রক্রিয়া সহজ নয়: বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন
পুরনো ছবি

টাইমস ডেস্ক:

চামড়া নিয়ে চলমান সংকট উত্তরণে কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি ছাড়াই কুরবানির কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সংগৃহীত এসব চামড়া রপ্তানি প্রক্রিয়া মোটেও সহজ নয় বলে জানিয়েছেন ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে না। কারণ কাঁচা চামড়া রপ্তানি করতে যেসব লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার তা এ মুহূর্তে নেই।


তিনি আরও বলেন, শুধু অনুমতি পেলে চামড়া রপ্তানি করা যায় না। কাঁচা চামড়া নেয়ার জন্য নিদিষ্ট কন্টেইনার থাকতে হবে। রপ্তানি বাজার তৈরি করতে হবে। এলসি করতে হবে। এ ছাড়াও সাপোর্টিং অনেক ব্যাপার রয়েছে। এগুলো সমন্বয় করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ফলে এ মুহূর্তে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ নেই। আবার দেরি করে কাঁচা চামড়া রপ্তানি করলে এর সুফল সাধারণ মানুষ পাবে না। গরিব-মিসকিন, এতিম ও দুস্থরা সুবিধাবঞ্চিত হবে। অন্যদিকে সুফল পাবেন আড়তদাররা ও যারা ফরিয়াদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন তারা। এ কারণে তিনি সরকারের প্রতি এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন।
শাহীন আহমেদ বলেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ দিলে শতভাগ দেশীয় এই শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। তিনি মনে করেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার যদি ২-৩ মাস আগে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিত তাহলে গরিব-মিসকিন, এতিম ও দুস্থরা ঠকত না।
অবশ্য কাঁচা চামড়ার পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা চামড়া রপ্তানির অনুমতির জন্য সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও তারা জানিয়েছেন, এবারে কাঁচা চামড়া রপ্তানি সহজ হবে না।

কাঁচা চামড়া আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানির ব্যাপারটি নতুন। ফলে ইচ্ছা করলেই তড়িঘড়ি করে তা করা যাবে না। এর জন্য সময়ের প্রয়োজন। তিনি বলেন, চামড়া রপ্তানির সুযোগ থাকলে আগামী বছরগুলোতে এর ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

তিনি উল্লেখ করেন, দুই-তিন মাস আগে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলে এখন জটিলতার সৃষ্টি হতো না। আমরা শুনেছি সরকার চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেয়ার পর থেকে অনেকেই যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। তবে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হলে কুরবানিদাতারা চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাবেন। আবার আড়তদারদের ট্যানারি মালিকদের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না। টাকার সমস্যাও থাকবে না। গরিবের হকও নষ্ট হবে না।


উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট দেশে প্রথমবারের মতো কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। মানুষ যেন কাঁচা চামড়ায় ন্যায্য দাম পায় তা নিশ্চিত করতেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা দিতে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ৩১ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হয়েছে পশুর চামড়া।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও