বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকার এরকম দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ নেয়নি: গণপূর্ত মন্ত্রী

১১ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৯ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ এএম


বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকার এরকম দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ নেয়নি: গণপূর্ত মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ পরবর্তী প্রজন্মকে গুণগত উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকার এরকম দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ নেয়নি, যেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে নিয়েছেন। এ পদক্ষেপ রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।”

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ইউনাইটেড ডেলকট ওয়াটার লিমিটেডের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহরে পানি বিতরণ ও সরবরাহ সুবিধার উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ইউনাইটেড ডেলকট ওয়াটার লিমিটেডের মধ্যে আলোচ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়। রাজউকের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ এবং ইউনাইটেড ডেলকট ওয়াটার লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ফিলিপ ওয়েই জিং ইউ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, এমপি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এমপি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ডেলকট ওয়াটার লিমিটেডেরে চেয়ারম্যান ফিলিপ ওয়েই জিং ইউ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়েম খন্দকার, ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশনের প্রতিনিধি পঙ্কজ সিনহা এবং রাজউকের আলোচ্য প্রকল্পের পরিচালক সাবের আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (ইঞ্জি:) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব:) এবং সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ।

প্রধান অতিথি বলেন, “বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার যেকোন দেশের তুলনায় ভালো। বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সরকার নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশে একশটির অধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে, যার অধিকাংশই বিদেশী বিনিয়োগের জন্য করা হচ্ছে। তাই শুধু আলোচ্য প্রকল্পেই নয়, যেকোন প্রকল্পে বিনিয়োগে আমি বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানাচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, “আমি আমার মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন দেশের উন্নয়নে কাজ করি, নিজের উন্নয়নে নয়। আসুন শেখ হাসিনার স্বপ্নকে আমরা অনুসরণ করি। দায়িত্ব পালনে সততার সাথে কাজ করি। সাধারণ মানুষের উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে, কারণ তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।”

শ ম রেজাউল করিম যোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার এদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। দেশে যেকোন উন্নয়ন হতে হবে টেকসই উন্নয়ন। উন্নয়ন টেকসই না হলে ভবিষ্যতে তা আমাদের কোনো কাজে আসবে না।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, “পিপিপির মাধ্যমে করা এ চুক্তিটি সরকারের অত্যন্ত স্মার্ট একটি সিদ্ধান্ত। পূর্বচল প্রকল্পের স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ সুবিধাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পিপিপির মাধ্যমে এ ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। পূর্বাচল হবে বাংলাদেশের সেরা শহর ।”

উল্লেখ্য, ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্বাচল নতুন শহরে ১.৬মিলিয়ন জনসংখ্যার পানির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে উল্লিখিত প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়, যেটি বাস্তবায়ন করছে রাজউক। প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৯-২০২৩, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২০-২০৩৩ এবং প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯২.৩৯ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহরে পানি সরবরাহ করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে ১৫টি গভীর নলকূপ এবং ৩২০ কিলোমিটার রোড এলাইনমেন্ট বরাবর পাইপ লাইনের নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পূর্বাচলে বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোন বাধা থাকবে না। কারণ ইতোমধ্যে সেখানে অবকাঠামো, সড়ক ও বিদ্যুৎ সেবার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

 

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও