জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই: গণপূর্ত মন্ত্রী

১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৭ এএম | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ এএম


জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই: গণপূর্ত মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপি বলেছেন, “জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আমাদেরকে বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে, কিন্তু নৈতিকতা ও মূল্যবোধের কাঙ্ক্ষিত অর্জন আমরা করতে পারিনি। যে মানুষ সংগীতকে লালন, ধারণ ও চর্চা করতে পারেন, তিনি জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতায় নিজেকে জড়াবেন না। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন।”

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘২৫ বছর পূর্তি ও বার্ষিক সংগীত উৎসব ২০১৯’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারপার্সন টুম্পা সমদ্দারসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক এবং প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গণপূর্ত মন্ত্রী আরো বলেন, “এই মানব সমাজে সাম্প্রদায়িকতা এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে ফিরে আসা আজ অত্যন্ত জরুরী। সেক্ষেত্রে সংগীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মানবতার জন্য, মনুষ্যত্ব ও সুকুমার বৃত্তির বিকাশের জন্য সংগীতের প্রয়োজন। অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ, আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ  গড়তে  অপার সম্ভাবনার মোহনীয় তান যোগাতে পারে সংগীত। তবে অপসংস্কৃতি যেনো আমাদেরকে গ্রাস করতে না পারে, সে জন্য বাঙালির নিজস্ব জারি, সারি, ভাটিয়ালি, কবি গান, পট গান-এ সব গানকে জাগ্রত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী খন্দকার আনিকা ইসলামের হাতে নীলুফার ইয়াসমিন স্মারক বৃত্তি তুলে দেয়া হয় এবং একই বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক শিল্পী নীলুফার ইয়াসমিনকে গুনীজন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এই দিন সকালে দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও