মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

২১ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পিএম


মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাঙালি জাতির মৌলিক সত্তা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্তা। আমাদের সকলের মধ্যে এই সত্তা জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। সোমবার (২১ অক্টোবর ২০১৯) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা অবলম্বনে কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার রচিত উপন্যাস ‘কিংবদন্তির ভাগীরথী’-এর প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কথাসাহিত্যিক হাসনাত অবদুল হাই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. সরকার আব্দুল মান্নান এবং নাট্যজন মাসুম রেজা।

গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন দুর্বলতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কিংবদন্তির ভাগীরথী উপন্যাস মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ প্রয়াস। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যাদের মধ্যে ঘুমিয়ে গেছে, তাদের জাগ্রত করা আমাদের দায়িত্ব। সেটা হতে পারে শিল্প, সাহিত্য, সাংবাদিকতা কিংবা রাজনীতির মাধ্যমে। আমরা যে যেখানে আছি সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ আমাদের অস্তিত্বের উৎস মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই চেতনার বাংলাদেশকে যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি, তাহলে ত্রিশ লক্ষ শহীদ যারা জীবন দিয়েছেন, দুই লক্ষ মা-বোন যাদের সম্ভ্রম দিতে হয়েছে, সেই মানুষগুলো আমাদেরকে ক্ষমা করবে না। ইতিহাসের দায়মুক্তি হবেনা। ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ যেন না হয়, সেজন্য আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গায় সচেতন হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন প্রণয়ন করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছিলেন। সে সময় দালাল আইনে ৩৭ হাজার ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছিল। যুকারো বিচার হয়েছিল, কারো সাজা হয়েছিল, কারো কারো বিষয়ে তদন্ত চলছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধীরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর যুদ্ধাপরাধের বিচার করে এবং রায় কার্যকর করেছেন বাঙালি জাতিকে ইতিহাসের দায় থেকে মুক্তি দিয়েছেন।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যেনো স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও