সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ ১১ জনের বিরু‌দ্ধে গ্রেফতা‌রি পরোয়ানা

০৫ জানুয়ারি ২০২০, ০১:২৪ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম


সাবেক প্রধান বিচারপতিসহ ১১ জনের বিরু‌দ্ধে গ্রেফতা‌রি পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ৪ কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযো‌গে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাসহ পলাতক ১১ আসা‌মির বিরু‌দ্ধে গ্রেফতা‌রি প‌রোয়ানা জা‌রির নি‌র্দেশ দি‌য়ে‌ছেন আদালত। পরোয়ানা কার্যকরের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়া‌রি) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কা‌য়েশ তা‌দের বিরু‌দ্ধে দাখিল করা অভি‌যোগপত্র আম‌লে নি‌য়ে এ আদেশ দেন।

মামলায় মোট ১১ আসা‌মির ম‌ধ্যে সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) অন্য মামলায় কারাগা‌রে আছেন।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি একেএম শামীম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাভারের শ্রীমতি সান্ত্রী রায় (সিমি) ও শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সাহা।

গত ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে এজাহারনামীয় আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (গুলশান) মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে এই মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর ক‌রেছেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধ প্রকৃতি উৎস অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন বা পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ মামলাটি করে দুদক। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর এই মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও