ই-পাসপোর্ট দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষের উপহার: প্রধানমন্ত্রী

২২ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৩৬ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩ এএম


ই-পাসপোর্ট দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষের উপহার: প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ই-পাসপোর্ট মুজিববর্ষে বাংলাদেশের মানুষের জন্য উপহার। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবো। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। সে জন্যই ই-পাসপোর্ট। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই পাসপোর্টের মাধ্যমে দেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে। আগে গলাকাটা পাসপোর্ট ছিলো সেটা আর থাকবে না। মানুষ আর ধোঁকায় পড়বে না। প্রথমে হাতে লেখা, এরপর এমআরপি, আর এখন ই-পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ায় বিদেশে বাংলাদেশি ও প্রবাসীরা এবং বাংলাদেশে বিদেশিরা আর ভোগান্তিতে পড়বে না বা আর হয়রানির শিকার হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন সবাই। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে এই কার্যক্রম চলবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কেন্দ্র থেকেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হবে।

জানা গেছে, প্রতিদিন পাসপোর্টের বই প্রয়োজন হয় দুই লাখ। আমদানি হচ্ছে এক লাখ ৮০ হাজার করে। প্রতি মাসে ২০ হাজার বই সরবরাহে ঘাটতি থাকে। এভাবে গত কয়েক মাসে ২ লক্ষাধিক পাসপোর্ট বইয়ের সংকট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে ৩ লাখ পাসপোর্টের আবেদন ঝুলে আছে। তাঁদের মধ্যে যাঁদের তদবিরের জোর আছে তাঁরা পাসপোর্ট পাচ্ছেন।

পাসপোর্ট সংকট প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুনিম হাসান বলেন, পাসপোর্ট বই সংকটের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। ই-পাসপোর্ট সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হলে এই সংকট কেটে যাবে। ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনের পর একসঙ্গে ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে। এ জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। তিনটি বিদেশ থেকে আগতরা ব্যবহার করবেন। বাকি তিনটি যাঁরা বিদেশে যাবেন তাঁদের জন্য। মুনিম হাসান জানান, পর্যায়ক্রমে দেশের বিমান ও স্থলবন্দরে ৫০টি ই-গেট স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্টের ২০ লাখ বই আনা হয়েছে। তা দিয়ে আগামী ১০ মাস নিশ্চিন্তে ই-পাসপোর্ট দেওয়া যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারা দেশেই পাসপোর্ট অফিসের সামনে যেন হাহাকার চলছে। বিশেষ করে যাঁরা চিকিৎসার্থে দ্রুত দেশের বাইরে যেতে চান আর যাঁরা নির্দিষ্ট দিনে দেশের বাইরে থাকার কথা, তাঁদের কাকুতি-মিনতিতে পাসপোর্ট অফিসের কর্মীরাও যেন দিশেহারা।

এক কর্মকর্তা জানান, পাসপোর্ট বই না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে আবেদন প্রার্থীদের তাঁরা জানাচ্ছেন। কিন্তু কেউ কথা শুনতে চান না। তাঁরা দ্রুত পাসপোর্ট চান। ফলে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ই-পাসপোর্টের আবেদন করার জন্য অনেকে অপেক্ষা করছেন। ফলে এমআরপির আবেদন কমে এসেছে। তবে ই-পাসপোর্ট চালুর দিনই অর্ধলক্ষাধিক আবেদন জমা পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও