শনিবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন

০৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৪০ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৮ এএম


শনিবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১১ জানুয়ারি শনিবার সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন হতে যাচ্ছে। এদিন ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্র এবং ২০ হাজার অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিভিন্ন রেলস্টেশন, বাস স্টেশন, লঞ্চঘাট, ফেরি ঘাট, বিভিন্ন সেতু ইত্যাদি স্থানে অস্থায়ী বা ভ্রাম‌্যমাণ কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক‌্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সব কেন্দ্র খোলা থাকবে।

মাঠকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভিটামিন ‘এ ’ ক্যাপসুল অবশ্যই মাঠকর্মী/ স্বেচ্ছাসেবক খাওয়াবেন। কোনো অবস্থাতেই অভিভাবক/ শিশুর হাতে দেয়া যাবে না। কান্নারত অবস্থায় কিংবা জোর করে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। সবগুলো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল একসঙ্গে কেটে রাখা যাবে না। ভিটামিন ‘এ ’ ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরের সম্পূর্ণ তরল অংশ শিশুকে খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই শিশুকে পূর্ণ বা গোটা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

তিনি জানান, আগামী ১০-১২ জানুয়ারি এবং ১৭-১৯ জানুয়ারি টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হবে। সে কারণে গাজীপুর জেলার সব উপজেলা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১১ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৫ জানুয়ারি হবে।

স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে এক গবেষণায় দেখা যায়, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ৪.১% শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার জাতীয় রাতকানা প্রতিরোধ প্রকল্প শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে রয়েছে।

তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, আরো বহুবিধ উপকার হয়। এ ক‌্যাপসুল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে; ডায়রিয়া,আমাশয়, কলেরা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েডসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগে ঘন ঘন আক্রান্ত হওয়া রোধ করে, যা শিশুকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল হ্রাস করে এবং হামজনিত জটিলতা হ্রাস করে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও