আজ ৪৯ তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস
২১ নভেম্বর ২০১৯, ০২:২৯ পিএম | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম

নিজস্ব সংবাদদাতা:
আজ ২১ শে নভেম্বর, সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রযাত্রা এবং বিজয় গৌরবের স্মারক হিসেবে এই দিনটি প্রতিবছর পালিত হচ্ছে। এবছর পালিত হচ্ছে ৪৯ তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবছরের মতো এবারও নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিকগুলো।
বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ এবং প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি সেনা, ছাত্র ও সাধারণ জনতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে একটি সামরিক বাহিনী। শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ।
১৯৭১ সালে গঠিত অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। সমন্বিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। জুলাইয়ে গঠন করা হয় ৩টি নিয়মিত ব্রিগেড জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্স। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টি ব্যাটালিয়ন ছাড়াও যুদ্ধ চলাকালে আরো ৩টি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে পদ্মা ও পলাশ নামের দুটি গানবোট এবং নৌ কমান্ডোদের নিয়ে যাত্রা শুরু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর। তারা ১০ নন্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। ফ্রান্সের প্রশিক্ষণ থেকে পালিয়ে আসা ৮ বাংলাদেশি ও দেশে থাকা নাবিকদের নিয়ে তৈরি হয় নৌ-কমান্ডো। আগস্টের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম, মংলা, চাঁদপুর এবং নারায়ণগঞ্জে অপারেশন জ্যাকপটে অংশ নেন তারা। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ২৬টি জাহাজ ধ্বংস এবং সমুদ্রপথ অচল করে দেয় এ বাহিনী।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সূচনা হয় ১৯৭১ এর ২৮শে সেপ্টেম্বর ভারতের নাগাল্যান্ডের ধীমাপুর ঘাঁটিতে। ১০ জন পাইলট, ৬৭ জন টেকনিশিয়ান, ১টি এলয়েড থ্রি হেলিকপ্টার, ১টি অটার ও ১টি ড্যাকোডা উড়োজাহাজ নিয়ে গঠন করা হয় এ বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে পাকিস্তানি লক্ষ্যবস্তুসমূহের ওপর ৫০টি সফল হামলা চালায় কিলো ফ্লাইট নামে কাজ শুরু করা বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধ বেগবান করতে ১৯৭১ সালের ২১ শে নভেম্বর বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনী সম্মিলিত ভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। স্থল-নৌ ও আকাশ পথে ত্রিমুখী আক্রমণে খুলে যায় বিজয়ের পথ। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে।
৮০’র দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রতি বছর ২১ শে নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে আলোচনা সভা ও র্যালী
- কৃষিতে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন
- বর্মন পরিবারের মিলনমেলায় গুণীজন সংবর্ধনা ও নতুন কমিটি ঘোষণা
- ১ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি সামসুদ্দীন আহমেদ এছাকের ৮৫তম জন্মদিন
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে আলোচনা সভা ও র্যালী
- কৃষিতে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন
- বর্মন পরিবারের মিলনমেলায় গুণীজন সংবর্ধনা ও নতুন কমিটি ঘোষণা
- ১ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি সামসুদ্দীন আহমেদ এছাকের ৮৫তম জন্মদিন