কসবা ট্রেন দুর্ঘটনা: ১৫ জনের লাশ হস্তান্তর

১২ নভেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৬ পিএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ এএম


কসবা ট্রেন দুর্ঘটনা: ১৫ জনের লাশ হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর তুর্ণা নিশিথা এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে নিহত ১৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ জনের লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০),  হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), ভোল্লার ইয়াছিন আরাফাত (১২),  চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪),  বানিয়াচংয়ের আদিবা (২),  সোহামনি (৩),  হবিগঞ্জের রিপন মিয়া (২৫),  হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পিয়ারা বেগম (৩২); চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুল রহমান (৫৫),  চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫),  হাইমচরের কাকলী বেগম (২০) ও মরিয়ম (৪),  চাঁদপুর সদরের ফারজানা (১৫); নোয়াখালীর মাইজদির রবি হরিজন (২৩)।

আহতদের অনেককে ঢাকায় ও সিলেটে স্থানান্তর:

এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের বেশির ভাগেরই হাত-পা ভাঙা কিংবা মাথায় আঘাত রয়েছে। তাদের  ঢাকা মেডিকেল,  ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল ও সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এই হাসপাতালে মোট ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা হলেন সুমী (২১),  আবুল কাসেম (৪০),  মনির (৪০),  রাকিব (২৮),  হাসান আলী (৭০),  দুলাল মিয়া (৬৫),  মঈন মিয়া (৩৫),  হাফসা (১৪),  আসমা (২৪), আশিক (৩২), বোরহান (৪০), আসমা বেগম (২৫), নাজমা (৩০), রাজন(২৮), রাহুল (১), জনি (২৪), অজ্ঞাত (৩০), অলিউল্লাহ (৩৬), আলমগীর (৪০), মুখলেস (৪৩), জজ মিয়া (২৬), মীম (৭), রাহিমা (৪৫), লোকমান (২২), রুবেল (৩৫), আনোয়ার (৩৩), সুব্রত (৪৫), সুরাইয়া খাতুন (৬০), তারা হরিজন (৬৫), ইমন (১৮), সৈকত (৩৫), রায়হান (২০), সাহিদা (৪৫), রেনু (৩৫), আবুল কালাম (৩৫), অজ্ঞাত (৪), অজ্ঞাত (৩০)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়েই জরুরি বিভাগ, সার্জারি ও অর্থোপেডিক ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটার জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত করে একটি মেডিকেল টিম গঠন করি। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের ১২ জন চিকিৎসকের একটি টিমও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। আহতদের বেশির ভাগই হাত-পা ভাঙা ও মাথায় আঘাতজনিত আহত। তাদের ঢাকা ও সিলেটে পাঠানো হয়েছে।’

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত তিনটার দিকে কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনের হোম সিগনালে ওই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে।

মন্দবাগ রেলস্টেশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কসবা স্টেশন ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি মন্দভাগ স্টেশনের সিগন্যাল মতো এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করছিল। ওদিকে শশীদল পার হয়ে আসা তূর্ণা নিশিথা মন্দবাগে থামার সংকেত উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে থাকে। তখনো মন্দবাগে প্রবেশমান উদয়নের ছয়টি বগি প্রধান লাইনে। এ সময় দ্রুতগামী তূর্ণা নিশীথা ঢুকে পড়ে উদয়নের ওই সব বগিতে। এতে উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও