যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ঘরের ভেতর মিলল ৬ বাংলাদেশির মরদেহ
০৬ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৪০ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৩:১৫ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৬ বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। নিহতরা সবাই অভিবাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন। একসময়কার পুরান ঢাকার বাসিন্দা তৌহিদুল ৮ বছর আগে টেক্সাসের এই সিটিতে বসতি গড়ার আগে নিউইয়র্কে বাস করতেন। তিনি সিটি ব্যাংকে চাকরি করতেন।
নিহতদের পারিবারিক এক বন্ধু পুলিশকে খবর দেয়ার পর স্থানীয় সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে অ্যালেনের পিন বাফ ড্রাইভের ১৫শ ব্লক থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কিংবা তারা আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন টিনেজ ভাই, তাদের এক বোন, তাদের বাবা-মা এবং দাদি রয়েছেন। সবচেয়ে কমবয়সী নিহতের বয়স ১৯ বছর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডালাস মর্নিং নিউজকে পুলিশ সার্জেন্ট জন ফেলতি জানান, ‘ধারণা করা হচ্ছে- ওই পরিবারের দুই ভাই আত্মহত্যা করার ব্যাপারে একমত হন এবং এর আগে তাদের পুরো পরিবারকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার (হত্যার) সিদ্ধান্ত নেন।’
নিহতরা হলেন-তৌহিদুল ইসলাম (৫৬), তার স্ত্রী আইরিন ইসলাম নীলা (৫৫), দুই ছেলে তানভির তৌহিদ (২১) ও ফারহান তৌহিদ (১৯), মেয়ে পারভিন তৌহিদ (১৯) ও তার তৌহিদের শাশুড়ি আলতাফুন্নেসা (৭৭) ছিলেন।
পারভিন পড়তেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে। সপ্তাহখানেক আগে তাকে নিউইয়র্ক থেকে বাসায় নেয়া হয়। ফারহান গত বছর ভর্তি হয়েছিলেন অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে।
তানভিরও পড়তেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের অস্টিনে। তার এবারই গ্র্যাজুয়েশনের কথা। ফারহান আর পারভিন ছিলেন যমজ। আর আলতাফুন্নেসার গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল।
সামাজিক ফেসবুকে ঘটনার বিষয়ে লম্বা এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফারহান। সেখানে তিনি ২০১৬ সালে নবম গ্রেডে পড়াবস্থায় ‘বিষন্নতায় আক্রান্ত’ হওয়ার কথা চিকিৎসকের বরাতে জানান। এজন্য তার শিক্ষাজীবন বির্পযস্ত হয়।
অবস্থা গুরুতর হলে বন্ধুরা তাকে ত্যাগ করে। এক পর্যায়ে জীবন দুর্বিষহ হলে তিনি আত্মহত্যার কথা ভাবেন। কিন্তু তিনি মারা গেলে পরিবারের অন্যরা কষ্ট পাবেন। তাই তাদেরও হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর সঙ্গে ভাইকে যুক্ত করে তারা বন্দুক কেনেন।
আমি যদি আত্মহত্যা করি তাহলে গোটা পরিবার সারাটি জীবন কষ্ট পাবে। সেটি চাই না। সেজন্যে পরিবারের সকলকে নিয়ে মারা যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বড় ভাইকে শামিল করলাম। দুই ভাই গেলাম বন্দুক ক্রয় করতে। আমি হত্যা করব ছোটবোন আর নানীকে। আমার ভাই হত্যা করবে মা-বাবাকে। এরপর উভয়ে আত্মহত্যা করব। কেউ থাকবে না কষ্ট পাবার।
অস্ত্র কেনার বিষয়ে লেখা হয়েছে, বন্দুক ক্রয়ের ব্যাপারটি খুবই মামুলি। বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের নামে তামাশা চলছে সর্বত্র। বড়ভাই গেলেন দোকানে। বললেন যে, বাড়ির নিরাপত্তার জন্যে বন্দুক দরকার। দোকানি কয়েকটি ফরম ধরিয়ে দিলে সেখানে স্বাক্ষর করলেন ভাই। এরপর হাতে পেলাম কাঙ্খিত বস্তুটি, যা দিয়ে নিজের কষ্ট এবং পরিবারের কষ্ট সহজে লাঘব করা যাবে।
বিভাগ : বিশ্ব
- মিয়ানমারে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল জান্তা সরকার
- ভৈরবে শেখবাড়ির সাথে শিকদার বাড়ির সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩০
- শিবপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে মাইকিং ও মোবাইল কোর্ট
- বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
- করোনায় টানা দ্বিতীয় দিনে ১০১ জনের মৃত্যু
- নরসিংদীতে এক দিনে আরও ৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত
- মুজিবনগর সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করছে শেখ হাসিনা সরকার: শ ম রেজাউল করিম
- নিখোঁজ সংবাদ
- শিবপুরে লরির সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু নিহত
- সরকারকে ফাঁকি দিলেও করোনাকে ফাঁকি দেওয়া যায় না: ওবায়দুল কাদের
- মিয়ানমারে ২৩ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল জান্তা সরকার
- ভৈরবে শেখবাড়ির সাথে শিকদার বাড়ির সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩০
- শিবপুরে লকডাউন বাস্তবায়নে মাইকিং ও মোবাইল কোর্ট
- বাঁশখালীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
- করোনায় টানা দ্বিতীয় দিনে ১০১ জনের মৃত্যু
- নরসিংদীতে এক দিনে আরও ৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত
- মুজিবনগর সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করছে শেখ হাসিনা সরকার: শ ম রেজাউল করিম
- নিখোঁজ সংবাদ
- শিবপুরে লরির সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু নিহত
- সরকারকে ফাঁকি দিলেও করোনাকে ফাঁকি দেওয়া যায় না: ওবায়দুল কাদের