লন্ডনে ১০০ প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির তালিকায় টিউলিপ

০৫ অক্টোবর ২০১৯, ১০:১০ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৪ এএম


লন্ডনে ১০০ প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির তালিকায় টিউলিপ

টাইমস ডেস্ক:

লন্ডনের সেরা ১০০০ ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে ঐতিহ্যবাহী ‘ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড’ ম্যাগাজিন। ‘প্রোগ্রেস ১০০০’ নামে সম্প্রতি প্রকাশিত এ ম্যাগাজিনের এবারের তালিকার সেরা  ১০০ প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির মাঝে উঠে এসেছে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম। ২০১৯ সালে লন্ডনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের তালিকায় থাকা এই ব্রিটিশ এমপি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার কন্যা।

২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটেনের লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে, লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন স্টেট থেকে এমপি নির্বাচিত হন  টিউলিপ সিদ্দিক। এমপি হওয়ার পর হাউস অব কমন্সে দেয়া প্রথম ভাষণেই সকলের নজর কাড়েন টিউলিপ।

লন্ডনের রাজনীতিবিদদের যে তালিকাটির অভিজাত ওয়েস্টমিনিস্টার ক্যাটাগরিতে ঠাঁই পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক সেখানে আরও আছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ডাচি অফ ল্যানকাস্টারের চ্যান্সেলর মাইকেল গভ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ও শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসনের মতো লন্ডনের রাজনীতিকেরা।

প্রতিবছর লন্ডনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তিদের নিয়ে ‘প্রোগ্রেস ১০০০’ নামে এই তালিকা প্রকাশ করে ‘ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড’। রাজনীতি ছাড়াও ব্যবসা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, নকশা, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের নাম এই তালিকায় উঠে।

টিউলিপকে নিয়ে ওই ম্যাগাজিনে লেখা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য সন্তান জন্মদানের অস্ত্রোপচার পিছিয়ে বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।

তখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনো এমপির সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যোজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে কোনো ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকতেন, যাকে বলা হতো ‘পেয়ার’। কারও অনুপস্থিতি যেন ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে না পারে, এজন্যই ওই প্রথা।

 

অতীতের এই ঘটনার কারণে ওই ব্যবস্থায় তাঁর আর আস্থা নেই জানিয়ে সশরীরে পার্লামেন্টে গিয়ে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন টিউলিপ। তার এই সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে সন্তানপ্রত্যাশী ও নবজাতকদের মা-বাবার জন্য ঐতিহাসিক ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতি চালু করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার।

পার্লামেন্টারি প্রটোকলে ঐতিহাসিক এই সংস্কার আনার বিষয়টিকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেছে ‘ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড’।

এমপি হয়ে হাউস অব কমন্সে দেয়া প্রথম ভাষণেই শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি ব্রিটেনের সহৃদয়তার ওপর আলোকপাত করে তোলপাড় সৃষ্টি করেন টিউলিপ। যার ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের অভিবাসন প্রত্যাশিদের কাছে রীতিমত আইডলে পরিণত হন টিউলিপ সিদ্দিক। বিবিসি প্রকাশিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অভিষিক্ত ( নবনির্বাচিত) সদস্যদের স্মরণীয় ভাষণের তালিকায়ও স্থান পায় তাঁর এই ভাষণ।

নিজেকে ‘একজন আশ্রয়প্রার্থীর কন্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে সে সময় মা শেখ রেহানার দুর্দশার বিবরণ দেন টিউলিপ সিদ্দিক। ১৯৭৫ সালে তার নানা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ কুচক্রীদের হাতে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় খোঁজেন তাঁর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।

 

 


বিভাগ : বিশ্ব


এই বিভাগের আরও