সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় শিবপুরের একই পরিবারের ২ জন নিহত, আহত-৫

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৯ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৭ এএম


সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় শিবপুরের একই পরিবারের ২ জন নিহত, আহত-৫

শেখ মানিক,শিবপুর:
সৌদি আরবের জেদ্দা-মদিনা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নরসিংদীর শিবপুরের একই পরিবারের দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। মক্কা থেকে ওমরাহ পালন শেষে মসজিদে নববি জিয়ারতের উদ্দেশ্যে জেদ্দা থেকে মদিনা যাওয়ার ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে ‘ওয়াদি আল ফারাহ’ নামক স্থানে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত বাংলাদেশ সময় ১ টায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।

নিহতরা হলেন জেদ্দা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা শাখার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের পিতা নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাজী আব্দুল মালেক (৭০) ও নাতী শাকিলের স্ত্রী তাসলিমা (২৫)।এসময় আতাউর রহমান মুকুল ও তার পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত হন।

আহতরা হলেন, আতাউর রহমান মুকুল (৪৫), তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৩৫) তার মেয়ে জান্নাতুল বাকিয়া মুন (১০) নিহত তাসলিমার ছেলে বন্ধন (৬) ও জাহিদ (১৯)।দুর্ঘটনার খবর বাড়িতে পৌঁছালে পরিবারটিতে নেমে আসে শোকের ছায়া।২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ সাধারচর আব্দুল মালেক মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীও এ ঘটনায় শোকাহত হয়ে পড়েছেন। দেশে থাকা ছেলে মেয়েকে কোনভাবেই শান্ত্বনা দিতে পারছে না প্রতিবেশীরা।

নিহত আব্দুল মালেক মেম্বারের ছেলে ওয়াদুদ জানান, আমার বড় ভাই জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বাংলা শাখার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ওখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। আমিও ওখানে ছিলাম। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আমার বাবা, ভাগিনা ও ভাগিনার বউ বাংলাদেশ থেকে উমরাহ পালন করতে সৌদি আরব যান। ওমরাহ পালন শেষে বড় ভাই আতাউর রহমান মুকুলসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের কে নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে জেদ্দা থেকে মদিনায় জিয়ারতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে রাস্তায় একটি গর্তের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়িটি উল্টে গেলে দুমড়ে মুচড়ে যায় ঘটনাস্থলে আমার পিতা আব্দুল মালেক মেম্বার ও ভাগিনার বউ তাসলিমা বেগম (২৫) মারা যায়। আহত হয়েছেন গাড়িতে থাকা সবাই।

আহতদের মদিনায় একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত বড়ভাই আতাউর রহমান মুকুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তাদের সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে। সুস্থ্ হওয়ার পরেই বাবা ও ভাগিনার বউ এর লাশসহ ও সাইকে নিয়ে দেশে ফিরবেন তারা।