শিবপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লিপ গ্র্যান্টের টাকা চেয়ে হুমকি প্রদানের অভিযোগ

০৮ নভেম্বর ২০২১, ১১:৪২ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম


শিবপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লিপ গ্র্যান্টের টাকা চেয়ে হুমকি প্রদানের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর শিবপুরে ৬৯ নং যোশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্লিপ গ্র্যান্টের টাকা চেয়ে হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) শিবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ৬৭ নং ভংগারটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তার।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে বিদ্যালয় চলাকালীন সময় যোশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেল যোগে কতিপয় ১০/১২ জন সঙ্গীয় দলবল নিয়ে ভঙ্গারটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তারের নিকট ২০১৮/১৯ অর্থ বছরের স্লিপ গ্র‍্যান্টের হাজিরা মেশিনের ২৫ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দিতে বলেন। অন্যথায় ৫ লাখ টাকা যেকোনো উপায়ে উদ্ধার করবে বলে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করে মানহানী ও চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও হুমকি প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে তার সঙ্গীয় দলবল নিয়ে এসে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় অবস্থান করায় লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন যোশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান ১৬/০২/২০ সাল পর্যন্ত ভঙ্গারটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মরত ছিলেন। তৎকালীন ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে পিইডিপি-৪ এর স্লিপ গ্র্যান্টের ৫০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। সেই বরাদ্দ হতে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় বাবদ ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন না করার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সেই টাকা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় বাবদ ভাউচার দেখিয়ে বিদ্যালয়ের যৌথ হিসাব থেকে উত্তোলন করে নেন এবং সোনালী ব্যাংকের যৌথ হিসাব বিবরণীতে কোনো টাকা রেখে যাননি।

প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তার আরও অভিযোগ করেন, ভঙ্গারটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বদলী জনিত কারণে ৬৯ নং যোশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সম্পদ, বিভিন্ন রেকর্ডপত্র, রেজিস্ট্রার ও বিদ্যালয়ের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে যাননি। আমি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১৭/০২/২০২০ তারিখ হতে সহকারী শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র না থাকায় কাজ চালিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে।

যোগাযোগ করা হলে যোশর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, ভংগারটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন শিক্ষা অফিসকে অবগত করে বিদ্যালয়ের কাজে ২৫ হাজার টাকা খরচ করেছিলাম। পরে সরকারি নির্দেশনা আসে এই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ওই টাকা ম্যানেজ করে দেয়ার জন্য অবগত করি। কাউকে হুমকি দেয়ার অভিযোগটি মিথ্যা ও বনোয়াট। নিয়ম অনুযায়ী যিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেবেন তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

শিবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল ছগির বলেন, প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।



এই বিভাগের আরও