রায়পুরায় খরস্রোতা কাঁকনের বুকজুড়ে ফসলের মাঠ

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৮ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম


রায়পুরায় খরস্রোতা কাঁকনের বুকজুড়ে ফসলের মাঠ

মো. আব্দুল কাদির
কাঁকন নদীকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠে রায়পুরা উপজেলার রায়পুরা বাজার ও শ্রীরামপুর হাট। দীর্ঘদিন ধরে খনন না হওয়ায় ও ক্রমাগত পলিমাটি জমে নদীটি হারিয়েছে তাঁর নাব্যতা, পরিনত হয়েছে সরু খালে। নদীর বুক জুড়ে এখন ফসলের মাঠ।

পুরো নদী কৃষকদের ধানী জমির দখলে। নদীর ৪.৭৫ কিঃ মিঃ অংশে কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও এর চেয়েও কম পানি। বর্তমানে একটি সরু খাল ছাড়া কাঁকনের অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া মুশকিল। ঐতিহ্যবাহী শ্রীরাপুর পুলের ঘাট এখন রুপকথার গল্প। নদীর পাড়ে দালান ওঠায় ঘাটের অস্তিত প্রায় বিলীন। শ্রীরামপুর হাঁটকে কেন্দ্র করে শুক্র ও সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকাযোগে আসতেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। কালের বির্বতনে নদী হারিয়েছে তাঁর পুরনো রুপ। কাঁকনের নব্যাতা ফিরিয়ে আনতে প্রযোজন নদী খননের ব্যবস্থা করা। এমটাই মনে করেন স্থানীয়রা।


স্থানীয় গোপাল চন্দ্র বর্মন জানালেন, হতভাগা কাঁকন নদীর পাশেই শ্রীরামপুর জেলে পাড়ায় আমার বাড়ি। এ নদীর পাড়ে তাঁর জন্ম, শৈশবে নদীর বুকে সাঁতার কেটেছি। ওই সময় শুষ্ক মৌসুমে নদীতে থাকত গলা পানি। নদীর পাড় ঘেঁষে কালিবাড়ি বটতলায় বসত মেলা। নদীর বুক জুড়ে ছিলো অসংখ্য দেশীয় প্রজাজিত মাছ। এখন যা দেখছি কিছুদিন পর আর হয়ত সরু খালটিও থাকবে না।


যোগাযোগ করা হলে রায়পুরা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদিকুল ইসলাম সবুজ জানান, উপজেলার দু’টি নদী খননের জন্য তিনি পানি সম্পাদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে কাঁকন নদীর পাঁচ কিলোমিটার খনন ও উপজেলার চরআড়ালিয়ার মরা নদীর নামও রয়েছে।



এই বিভাগের আরও