রায়পুরায় ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:০২ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫ পিএম


রায়পুরায় ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ

রায়পুরা প্রতিনিধি:

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে কাজী ইমরান (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগীর পিতা সিরাজ মিয়া (৬০) বাদী হয়ে অভিযুক্ত রায়পুরা থানায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল চৌধুরী ও তার চার সহযোগীসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাতে আহতকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজ মিয়ার ছেলে কাজী ইমরান ও পরিবারের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল চৌধুরীর পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। এই জের ধরে ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সাড়ে ৬ টার দিকে শাকিল চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিরাজ মিয়ার বাড়ীতে প্রবেশ মারধর করে। এসময় বাড়ীতে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলার সময় ব্যবসায়িক কাজ শেষে বাড়ি ফিরে আসা সিরাজ মিয়ার ছেলে কাজী  ইমরান (২৫) কে মারধর করে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় ইমরানের মা রৌসনা বেগম (৪৫) এবং তার ভাবী উর্মীকে মারধর করা হয়। ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিলের সাথে মির্জানগর ইউপি সদস্য মিলন মিয়ার ছেলে সুমন মোল্লা, খোরশেদ মিয়ার ছেলে মামুন এবং একই এলাকার ইশান ও জাবেদ মিয়া হামলায় জড়িত ছিলেন।

ভুক্তভোগী কাজী ইমরান বলেন, শাকিল তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল চৌধুরী বলেন, "রায়পুরা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভুট্টো ভাই এর বাসায় পারিবারিক সমস্যা নিয়ে আমরা মিটিংয়ে বসেছিলাম। বিষয়টি রায়পুরা পৌরসভার মেয়রকে অবগত করে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ না শুনে ইমরান সহ ৭-৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আমি আহত হয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, "আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাইছেন এবং আমি নিজেও তাদের দায়ের কোপে আহত হয়েছি।"

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।