পলাশে টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না মেধাবী শিক্ষার্থী মাইশার
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:০১ পিএম | আপডেট: ২০ মে ২০২৫, ১২:১২ পিএম

আল-আমিন মিয়া:
কয়েদিন আগেও দুচোখ ভরা স্বপ্নের হাতছানি ছিল পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সদ্য এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী মাইশা আক্তারের। লেখাপড়া শেষ করে ভালো একটি চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে সে। লেখাপড়ায় একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল মাইশা আক্তার।
এই শিক্ষার্থী কোমড়ের হার ভেঙে পড়ে আছে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের বারান্দার ফ্লোরে। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে আছে তার চিকিৎসা। মাইশাকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে গেলে তার একটি অপারেশন করা প্রয়োজন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেই অপরাশেনের ব্যয় হবে প্রায় এক লাখ টাকা। কিন্তু মাইশার দরিদ্র বাবার কাছে এক লাখ টাকা যোগান দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছে না। তিনি নিজেও একটি দুর্ঘটনায় পড়ে অচল হয়ে এখন ঘরবন্ধী।তবুও সমাজের কয়েকজনের কাছ থেকে হাত পেতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছেন তিনি। কিন্তু এক লাখ টাকা কোনোভাবেই যোগান করতে পারছেন না মাইশার বাবা। যেকারণে চিকিৎসার অভাবে মাইশার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার গড়পাড়া গ্রামের দিনমজুর মোখলেছুর রহমানের ছোট মেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মাইশা আক্তার। গত আগস্ট মাসের ২৮ তারিখে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে টিনের চাল থেকে পড়ে কোমড়ের হার ভেঙে যায় তার। বর্তমানে সে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বাবা মোখলেছুর রহমান মেঘনা গ্রুপে শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানে একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অচল হয়ে প্রায় চার বছর ধরে তিনি ঘরে বসা। মোখলেছুর রহমানের তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মাইশা আক্তার তৃতীয়। বড় বোনের মেয়ে হয়েছে। মেঝো বোন প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করে সংসার চালানোর পাশাপাশি ছোট বোন মাইশার লেখাপড়ার খরচ বহন করতেন। মাইশা মেধাবী ছাত্রী হওয়ায় পরিবারের সবার স্বপ্ন ছিল তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে উচ্চ শিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার। মাইশারও দুচোখ ভরা স্বপ্নের হাতছানি ছিল লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করার মাধ্যমে অভাব-অনটনের সংসারের হাল ধরার। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে বর্তমানে মাইশার জীবন বাঁচানোটাই যেনো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে তার পরিবারের। মাইশার চিকিৎসার জন্য সরকারের সহযোগিতা সহ স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আকুল আবেদন করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, মাইশা আক্তার একজন মেধাবী ছাত্রী ছিল। গরীব ঘরের সন্তান হওয়ায় স্কুলে পড়াকালীন সময় তাকে সব শিক্ষকরা সহযোগিতা করতেন। তার এমন দুর্ঘটনা সত্যিই বেদনাদায়ক। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।
বিভাগ : নরসিংদীর খবর
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রহুল কবির রিজভী
- শিবপুরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ
- নরসিংদী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি পেল আরও ৩ আন্তঃনগর ট্রেন
- নরসিংদীতে অস্ত্র ও গুলিসহ যুবক গ্রেপ্তার
- মনোহরদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু
- বেলাবতে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
- শিবপুরে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
- সংস্কার কখনও বটগাছের মত এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকে না: রহুল কবির রিজভী
- করিডোরের নামে খাল কেটে কুমির আনা হচ্ছে: নরসিংদীতে নূরুল হক নূর
- ইউপিডিএফ সদস্যদের হাতে অপহৃত রবি'র টেকনিশিয়ান ইসমাইলকে উদ্ধারের দাবি পরিবারের
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ এবং আহতদের দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র: রহুল কবির রিজভী
- শিবপুরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ
- নরসিংদী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি পেল আরও ৩ আন্তঃনগর ট্রেন
- নরসিংদীতে অস্ত্র ও গুলিসহ যুবক গ্রেপ্তার
- মনোহরদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু
- বেলাবতে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
- শিবপুরে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
- সংস্কার কখনও বটগাছের মত এক জায়গায় দাড়িয়ে থাকে না: রহুল কবির রিজভী
- করিডোরের নামে খাল কেটে কুমির আনা হচ্ছে: নরসিংদীতে নূরুল হক নূর
- ইউপিডিএফ সদস্যদের হাতে অপহৃত রবি'র টেকনিশিয়ান ইসমাইলকে উদ্ধারের দাবি পরিবারের