পলাশে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যার বর্ণনা দিলো প্রেমিকা

১০ মার্চ ২০২০, ০৮:১৭ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৮ এএম


পলাশে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যার বর্ণনা দিলো প্রেমিকা

পলাশ প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে প্রেমিক আল কাইয়ুম নিপুণ (৩৩)কে শ্বাসরোধে হত্যার পরে মরদেহটি বস্তাবন্দি করে বাড়ির সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের নিকট বর্ণনা দিয়েছে প্রেমিকা জেসমিন আক্তার সুমি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় সুমি।


এ হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই জাহিদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে সোমবার (৯ মার্চ) রাতে প্রেমিকা জেসমিন আক্তার সুমির নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানান, নিহত কাইয়ুম নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বাবা বিদেশ থাকায় সে পরিবার নিয়ে নরসিংদীর ভেলানগর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো। ২০১২ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিহত কাইয়ূমের সাথে পরিচয় ঘটে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগ্যের পাড়া গ্রামের মোকারমের স্ত্রী জেসমিন আক্তার সুমির। এরপর তারা পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।

পরকীয়া সম্পর্ক চলাকালীন নিহত কাইয়ূম তার মোবাইলে তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে রাখে। সেই ভিডিও পরিবারকে দেখানো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৬ মাস ধরে জেসমিন আক্তার সুমির কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেওয়া শুরু করে প্রেমিক কাইয়ুম। তারই ধারাবাহিকতায় শারীরিক সম্পর্ক করা ও টাকা আদায় করতে গত ৩ মার্চ রাতে সুমির বাড়িতে যায় কাইয়ূম। এসময় প্রেমিকা জেসমিন আক্তার সুমি পানির সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে কাইয়ূমকে অচেতন করে। একপর্যায়ে বিছানার চাদর দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহটি বস্তাবন্দি করে বাড়ির সেফটি ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে।


এদিকে কাইয়ুম নিখোঁজের ঘটনায় তার ছোট ভাই গত ৪ মার্চ নরসিংদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইলের কললিস্ট বের করে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রেমিকা সুমির মোবাইল নম্বরের একাধিক যোগসূত্র পায়। পরে সুমিকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্যমতে সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সুমির স্বামী মোকারমের বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে নিহত কাইয়ূমের বস্তাবন্দি মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।



এই বিভাগের আরও