পলাশে জনশুমারির লোক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৪২ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম


পলাশে জনশুমারির লোক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

পলাশ প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পরিসংখ্যান অফিস কর্তৃক জনশুমারি ও গৃহশুমারির লোক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগকর্তারা সাধারণ প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অধিকাংশ লোক জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে সরকারী চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকও রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূত এসব লোক নিয়োগের ফলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।


জানা যায়, সরকারী ডাটাবেজ তৈরির জন্য ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় জনশুমারি ও গৃহশুমারির তথ্য সংগ্রহের জন্য গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি থেকে পলাশ উপজেলায় গণনাকারী ও সুপারভাইজার পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা জুড়ে ১৫০ টি পদে আবেদন করেন ৪ শতাধিক প্রার্থী। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয় নিয়োগ পরীক্ষা। নিয়ম অনুযায়ী, নিয়োগ পরীক্ষায় পূর্ব অভিজ্ঞতাসহ বেকার শিক্ষিত নারী-পুরুষদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা থাকলেও এখানে হয়েছে এর ব্যতিক্রম। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই নিয়োগকর্তারা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে পাওয়া নামের তালিকা দেখে নিয়োগ দিয়ে দেয়। এতে করে বাদ পড়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অনেক সাধারণ প্রার্থী।
পূর্ব অভিজ্ঞাতা সম্পন্ন একাধিক প্রার্থী জানান, তারা পূর্বে বিভিন্ন শুমারির কাজ করেছেন। এবার তাদের অনেককেই নেয়া হয়নি। নিয়োগকর্তারা গোপনে পছন্দের লোক নিয়ে নেওয়ায় তাদের অনেকেই বাদ পড়েছেন।


পলাশ দড়িহালওলা পাড়া গ্রামের বাইজিদ আহাম্মেদ বলেন, নিয়োগকৃত অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোক, যাদের এসব কাজের সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এছাড়া যারা নিয়োগ পরীক্ষাও দেয়নি তাদের নামসহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী অফিসে চাকুরিরত অনেকের নামও নিয়োগপ্রাপ্ত তালিকায় রয়েছে।


তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পলাশ উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মোঃ শাহজালাল তালুকদার বলেন, নিয়োগের ৩০ শতাংশ সুপারিশের মাধ্যমে নেওয়া হলেও বাকিগুলো স্বচ্ছতার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।



এই বিভাগের আরও