পলাশে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে নির্যাতন

১৯ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:২১ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ এএম


পলাশে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর পলাশে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মাখন শিকদার (৩৫) নামে এক বখাটে কর্তৃক শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী (৩০)। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার চলনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত বখাটে মাখন শিকদার পলাশ উপজেলার চলনা গ্রামের বদরুজ্জামান শিকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: নাসির উদ্দিন।


নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ৫ বছর আগে স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর নরসিংদীর একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেন ওই নারী। পরে অসুস্থতার কারণে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে বাবার বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। বাবার বাড়িতে থাকার সুবাদে একই গ্রামের একাধিক বিবাহিত বখাটে মাখন শিকদার ওই নারীকে উত্যক্ত করে আসছিল। প্রায়ই পথে একা পেয়ে ওই নারীকে উত্যক্ত করা এমন কী শ্লীলতাহানিও করে মাখন। এসব উত্যক্তের ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণণাশের হুমকি দেয়া হয়। লজ্জা ও প্রাণ ভয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানিয়ে সহ্য করে যাচ্ছিলেন তিনি। পরে মাখনের উত্যক্ত করার মাত্রা বেড়ে গেলে ১ সপ্তাহ আগে ওই নারী তাকে উত্যক্তের ঘটনা মাখনের স্ত্রীকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয় মাখন শিকদার।


সোমবার সন্ধ্যায় ওই নারী তার চাচার বাড়িতে যাওয়ার পথে মাখন তার গতিরোধ করার চেষ্টা করলে সে চিৎকার দিয়ে চাচার বাড়িতে চলে যায়। এসময় সেখানে গিয়ে বখাটে মাখন জোরপূর্বক ওই নারীর শ্লীলতাহানি করে ও স্পর্শকাতর স্থানে নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে লাঠিপেটা করে আহত করে। টের পেয়ে ওই নারীর বাবা মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে এ ঘটনায় পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী।


এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত মাখন শিকদার। তার বড় ভাই ফরিদ শিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘটনা জানতে পেরেছি। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে।


পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্তের পর জানা যাবে, তবে অভিযুক্ত মাখনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।



এই বিভাগের আরও