তিনমাস পর সৌদি থেকে পলাশে ফিরলো আল-আমিনের মরদেহ

২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫০ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম


তিনমাস পর সৌদি থেকে পলাশে ফিরলো আল-আমিনের মরদেহ

আল-আমিন মিয়া, পলাশ:
দীর্ঘ তিন মাস ধরে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের একটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশী আল-আমিনের (৩২) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিহতের মরদেহ পৌঁছালে পরিবারের লোকজন গ্রহণ করেন।


নিহত আল-আমিন নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার উত্তর টেঙ্গর পাড়া গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে। মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। এসময় এলাকাবাসী শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন।


পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উত্তর টেঙ্গর পাড়া গ্রামের ধনু মিয়ার ৪ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে আল-আমিন ছিল তৃতীয় সন্তান। পরপর বড় দুই ভাইকে হারিয়ে পরিবারের হাল ধরতে আল-আমিন চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে পাড়ি দেন। সেখানে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের পণ্য মার্কেটিং এর কাজ করছিলেন আল আমিন।
গত জুন মাসের ১০ তারিখ ঘরের ভিতর রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয় আল-আমিনসহ আরো দুই বাংলাদেশী। পরে দীর্ঘ ১ মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ১২ জুলাই আল-আমিনের মৃত্যু হয়। তিন মাস মর্গে থাকার পর আল-আমিনের লাশ দেশে পৌছায়।


নিহত আল-আলমিনের শোকাহত বাবা ধনু মিয়া বলেন, দুর্ঘটনায় বড় দুই ছেলেকে হারানোর পর পরিবারের হাল ধরতে আল-আমিনকে জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। সেখানে চার মাস কাজ করার পর সেও গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনায় মারা যায়। কোন পিতার জন্য এরচেয়ে বড় শোক আর কী হতে পারে।
তিনি বলেন, ছেলে মারা যাওয়ার পর তার লাশ দেশে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা কোন কাজেই আসেনি। এক পর্যায়ে আমরা আশা-ই ছেড়ে দিয়েছিলাম। অবশেষে দীর্ঘ তিনমাস পর ছেলের লাশ ফেরত পেলাম।


ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঃ বাতেন মিয়া বলেন, নিহত আল-আমিনের লাশ পরিবারের কাছে পৌছানোর পর দুপুরে তার জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।



এই বিভাগের আরও