পলাশে ঘুষ না দিলে মিলছে না মাতৃত্বকালীন ভাতা

০১ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম


পলাশে ঘুষ না দিলে মিলছে না মাতৃত্বকালীন ভাতা

পলাশ প্রতিনিধি ॥
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘুষ ছাড়া সরকার নির্ধারিত মাতৃত্বকালীন ভাতা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই অফিসের হিসাব সহকারী (কাম-কম্পিউটার অপারেটর) আব্দুল বাছেদ শেখ মাতৃত্বকালীন ভাতা বাবদ প্রতি নারীর কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘুষ দিতে রাজি না হলে ভাতা বন্ধ রাখা হয় মাসের পর মাস।
এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্ত বাছেদ শেখের বিরুদ্ধে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রাপ্ত শারমিন আক্তার, তাসলিমা বেগম, শামসুন্নাহারসহ একাধিক নারী জানান, তারা ওই অফিস থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা পেয়ে যাচ্ছিলেন। গত তিন মাস ধরে তাদের ভাতা বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি জানতে তারা অফিসের হিসাব সহকারী বাছেদ শেখের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়। টাকা দিলে পূণরায় তাদের ভাতা চালু হবে বলে জানায় বাছেদ।
এ বিষয়ে আব্দুল বাছেদ শেখ বলেন, এটি ভুল বুঝাবুঝি ছিল। বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওশন আরা বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার কানে এসেছে। অনেক সময় একাউন্টকারীর ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে ভাতা পেতে সমস্যা হয়। হয়তো সেসব ঠিক করার জন্য কিছুটা খরচ চেয়েছিল। তবে এসব বিষয়ে টাকা নেওয়ার বিধান নেই।

পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিন জানান, ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 



এই বিভাগের আরও