পলাশে ইটভাটার অবৈধ দখলে ৩৫ বিঘা কৃষিজমি, বিপাকে কৃষকরা

২৯ জুলাই ২০১৯, ০৫:১২ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ এএম


পলাশে ইটভাটার অবৈধ দখলে ৩৫ বিঘা কৃষিজমি, বিপাকে কৃষকরা

পলাশ প্রতিনিধি ॥
নরসিংদীর পলাশে আব্দুল হাই নামে এক ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৫ বিঘা কৃষিজমি অবৈধভাবে দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ইটভাটার অবৈধ দখল থেকে জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকরা। এই ইটভাটার অবস্থান পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর এলাকায়।

ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, কৃষকদের সাথে বার্ষিক ১৯ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময়ে ১০ বছরের চুক্তিতে ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর এলাকায় কৃষিজমিতে একটি ইটভাটা স্থাপন করেন আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তি। ২০১৭ সালে এ চুক্তির ১০ বছর মেয়াদ শেষ হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১০ বছর পর কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার শর্ত থাকলেও ভাটা মালিক আব্দুল হাই কৃষকদের জমি ফিরিয়ে না দিয়েই দুই বছর ধরে ভাটা বন্ধ রাখেন। দুই বছর জমিতে কৃষকদের কোনো প্রকার ফসল করতে দেওয়া হয়নি। দেয়া হয়নি দুই বছরের ভাড়ার টাকাও। কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পেতে ভাটার মালিক আব্দুল হাই এর কাছে দাবী জানালে উল্টো হুমকি দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কৃষকরা তাদের জমি থেকে ইটভাটা সরিয়ে জমিতে চাষাবাদ করার জন্য জমি ফিরে পেতে পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।


ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল সালাম, মামুন মিয়া, ফরমান আলী, আব্দুল আজিজ, আব্দুর রহমানসহ সহ ৮/১০ জন কৃষক জানান, বার্ষিক ভাড়ার বিনিময়ে আমাদের ৩৫ বিঘা জমি ১০ বছরের চুক্তিতে আব্দুল হাই এর ইটভাটায় দেয়া হয়। চুক্তির ১০ বছর পার হলেও প্রায় দুই বছর ধরে ভাড়াও দিচ্ছেন না, আবার জমিও ফিরিয়ে দিচ্ছেন না। আমাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন এসব জমি। উপার্জন না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।


যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আব্দুল হাই বলেন, আমি ১০ বছরের চুক্তিতে ইটভাটা চালিয়েছি। কৃষকদের কোনো পাওনা আমার কাছে বকেয়া ছিল না। পরে আমার শ্যালক বাদল সরকারের কাছে ভাটা বিক্রি করে দিয়েছি, সে ভাটা বন্ধ করে রেখেছে। এটা সম্পূর্ণ তার বিষয়। এটা আমার কোনো বিষয় নয়।

এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর পরও কৃষকরা জমি ফেরত পাচ্ছেন না, ভাড়াও পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পুলিশ বিভাগকে বলা হয়েছে।



এই বিভাগের আরও