পলাশে মজার ছলে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির শরীরে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করলো দুই যুবক !

০৯ মার্চ ২০১৯, ০৮:২০ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পিএম


পলাশে মজার ছলে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির শরীরে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করলো দুই যুবক !

নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর পলাশে মজা করার ছলে খোরশেদ আলম গাজী (৪৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির শরীরে দাহ্য পদার্থ (এসিড জাতীয়) ঢাললো দুই যুবক। খোরশেদ আলম গাজী পলাশ উপজেলার পন্ডিতপাড়ার গাবতলী গ্রামের মৃত মুসলেহ উদ্দিনের ছেলে। শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ঝলসানো অবস্থায় খোরশেদ আলমকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে পলাশ উপজেলার পন্ডিতপাড়া গ্রামের সাকুরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।


এ ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক একই এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২২) ও মোশারফ হোসেনের ছেলে বিজয় (২১) পলাতক রয়েছে।


আহত খোরশেদ আলমের মেয়ে উর্মি আক্তার নরসিংদী টাইমসকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা খোরশেদ আলম গাজী মানসিকভাবে অনেকটা ভারসাম্যহীন। এ কারণে তিনি কোনো কাজকর্ম করেন না। মাঝেমধ্যে এলাকার বিভিন্ন চা স্টলে বসে সময় পার করেন। শুক্রবার রাতে তিনি বাড়ির পাশের একটি চা স্টলে বসেছিলেন। সেখানে এলাকার রাসেল ও বিজয় নামে দুই যুবক বাবার সাথে দুষ্টুমি বা মজা করার ছলে ওনার শরীরে ব্যাটারির নির্গত গরম পানি বা এসিড জাতীয় পদার্থ ঢেলে দেয়। এসময় বাবা যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন আমাদের খবর দিলে আমরা ওনাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করি।


উর্মি আক্তার আরো জানান, এলাকার দুষ্টু ছেলেরা প্রায়সময়ই আমার বাবাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো। অনেক সময় তার শরীরে ময়লা-আর্বজনাও ঢেলে দিতো। কিন্তু এবার যে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটাবে তা কখনো ভাবিনি।

সরেজমিনে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন খোরশেদ আলম। অপরিচিত লোক দেখলেই তিনি ভয়ে আতংকিত হচ্ছেন। এ অমানবিক ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অনেকেই মর্মাহত হন। দাহ্যপদার্থে খোরশেদ আলমের শরীরের প্রায় ৩০ ভাগ ঝলসে গেছে। তাৎক্ষণিক মেডিকেলে নিয়ে আসায় বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


যোগাযোগ করা হলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা নরসিংদী টাইমসকে জানান, দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। 

 



এই বিভাগের আরও