পলাশে অজ্ঞান ও মলম পাটির ২ সক্রিয় সদস্য আটক

০৭ মার্চ ২০১৯, ০৫:০২ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম


পলাশে অজ্ঞান ও মলম পাটির ২ সক্রিয় সদস্য আটক

পলাশ প্রতিনিধি

নরসিংদীর পলাশে অজ্ঞান ও মলম পার্টির ২ সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী বাজার থেকে অটোবাইক চালককে অজ্ঞান করে অটোবাইক লুট করার সময় পলাশ থানার এসআই মীর সোহেল রানা তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা এলাকার গোসিংগা গ্রামের মৃত বেলায়েত মৃধার ছেলে মনির হোসেন (৩৪) ও বি-বাড়িয়া জেলার নবীনগর থানা এলাকার মালাই ভাঙ্গুরা গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে আবু হানিফ (৩২)।

থানা পুলিশ জানায়, চক্রটির সদস্যরা বিভিন্ন চলন্ত বাসে উঠে এবং জনাকীর্ণ স্থানে গিয়ে নানা কৌশলে ওষুধ মেশানো দ্রব্যাদি খাইয়ে সাধারণ মানুষদের অজ্ঞান করে। তারপর তাঁদের কাছ থেকে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। তাদের এসব ওষুধের ব্যবহারের ফলে অনেকের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

থানার এসআই মীর সোহেল রানা জানান, বুধবার রাতে পলাশ থানাধীন জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী বাজার এলাকা থেকে মোমেন মিয়া নামে এক অটোবাইক চালককে এনার্জি (মোজু) খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে অটোবাইকটি লুট করে নিয়ে যাওয়ার পথে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অজ্ঞানের কাজে ব্যবহৃত ঘুমের ওষুধ মেশানো বিষাক্ত হালুয়া ও পানসহ লুটকৃত অটোবাইকটি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, আটককৃতদের দেওয়া তথ্যমতে বুধবার রাতেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানা এলাকার নিমাইকাশারি গ্রামে অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, আটক হওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ এই চক্রটির সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন যানবাহনসহ জনাকীর্ণ স্থানে এ ধরণের কাজ চালিয়ে আসছে। তারা সাধারণ মানুষকে ঘুমের ওষুধ মেশানো হালুয়াসহ নানা দ্রব্যাদি খাইয়ে সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। তাদের মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ ব্যবহারের ফলে মানুষ ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় অজ্ঞান হয়ে থাকে। এতে করে বড় ধরণের শারীরিক ক্ষতি ছাড়াও প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবদেনসহ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।



এই বিভাগের আরও