পলাশে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত

১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭ পিএম


পলাশে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর পলাশে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এ সময় পিটুনিতে তার দুজন কর্মীও আহত হয়েছেন। হামলা চালিয়ে তাকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো: রুবেলের বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা কমপ্লেক্স সংলগ্ন দড়িহাওলাপাড়া এলাকার নিজ বাড়ির সামনের সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত মোস্তাফিজুর রহমান পাপন (৩২) পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামের শাজাহান সাজুর ছেলে। তার পরিবার দড়িহাওলাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।

বিএনপি ও ছাত্রদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বিকালে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ছিল। ওই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান পাপন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আমানুল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ আরও ৪/৫জন। হঠাৎ করেই মো. রুবেলের নেতৃত্বে ১০/১২টি মোটরসাইকেলে করে ছাত্রলীগের ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মোস্তাফিজুরসহ তিনজনকে পিটানোসহ একপর্যায়ে রুবেল পিস্তল বের করে মোস্তাফিজুর রহমানের ডান পায়ে গুলি করেন।

এ সময় মোস্তাফিজুর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

১০০ শয্যা বিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান জানান, ডান পায়ের হাঁটুর নিচে সাসপেক্টেড গানসট ইনজুরি নিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজন হাসপাতালে এসেছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তাকে আমাদের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে থাকা আহত পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আমানুল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, যে স্থানে মোস্তাফিজুর রহমানের পায়ে গুলি করা হয়েছে, সেটি পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের ১০০ গজের ভেতরে। অন্যদিকে মোটরসাইকেলে থাকা সবাই উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং তারা সবাই ঘোড়াশাল পৌর মেয়র উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মুজাহিদ হোসেন তুষারের কর্মী। বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ভয় দেখাতে ও চাপে ফেলতে মোস্তাফিজুর রহমানকে গুলি করেছেন তারা।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি কিন্তু বিস্তারিত জানতে পারিনি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগও পাইনি। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  



এই বিভাগের আরও