পলাশে জাল দলিলে জমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ

২০ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০৬ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পিএম


পলাশে জাল দলিলে জমি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ

আল আমিন মিয়া:
নরসিংদীর পলাশে জাল দলিল সৃজন করে ও জাল বি.আর.এস পর্চা দিয়ে নামজারি এবং জমাভাগ আবেদনের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কুড়াইতলী গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র রায়ের ছেলে স্বপন রায় ও মৃত রতন রায়ের ছেলে শ্রাবন রায়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।


এই ঘটনায় উপজেলা সহকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। জাল দলিলে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের গ্রামের সফর উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও কামাল হোসেনসহ পাঁচ জনের জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার টেঙ্গরপাড়া মৌজার আর.এস ২৭৭ নং খতিয়ানের আর.এস ১৩২০ দাগের জমি অভিযুক্তদের নামে নামজারি ও জমাভাগ করার জন্য উক্ত দাগে একটি জাল দলিল ও একটি জাল বি.আর.এস পর্চা সংযুক্ত করে তাদের ভোটার আইডির ফটোকপি ও ছবিসহ আবেদনপত্রে একাধিক স্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। ওই আবেদনে তারা ২২/০৩/১৯৭২ইং তারিখের সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, নরসিংদীর দলিল নং- ৯৩১৩ জমা দেন। পরর্বতীতে ভুক্তভোগীরা এ খবর জানতে পেরে ওই দলিলের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওইসব দলিলের ফটোকপি নিয়ে সার্টিফাইড কপি তোলার জন্য নরসিংদীর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের গেলে রেজিস্ট্রার অফিস ওই দলিলের বিষয়ে লিখিত ব্যাখা দেন। এতে বলা হয় ওই দলিলের দাতা ও গ্রহিতার সাথে নামজারিতে আবেদন করা দলিলের দাতা- গ্রহিতার মিল নেই। যা সর্ম্পূণ ভূয়া ও জাল।

এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ওই দাগে ভুক্তভোগীদের নামে রেকর্ড হওয়া একই বি.আর.এস পর্চা অভিযুক্তদের নামে জাল বানিয়ে নামজারীতে আবেদনকারী ব্যক্তিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, ভূমিদস্যু স্বপন রায় ও শ্রাবন রায় তাদেরকে হয়রানী করার জন্য নরসিংদীর জেলা জজ আদালতে দখলবিহীন অন্য আরেকটি দলিলের বৈধতা চেয়ে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যা এখনো আদালতে চলমান। এছাড়া ওই এজাহারের দলিলের বিবরণের সাথে নামজারির আবেদন করা দলিলের বিবরণেরও কোনো মিল নেই।

এ বিষয়ে কথা জানতে অভিযুক্তদের নামজারিতে ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিলভিয়া স্নিগ্ধা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



এই বিভাগের আরও