চেয়ার থেকে পা নামিয়ে বসতে বলায় সংবাদিককে মারধর!

২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম


চেয়ার থেকে পা নামিয়ে বসতে বলায় সংবাদিককে মারধর!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর পলাশে জুমুআর নামাজের খুতবার সময় চেয়ারে পা ওঠিয়ে বসার পর তা নামিয়ে ফেলতে বলায় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে পলাশ উপজেলার পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ জামে মসজিদে জুমুআর নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে।

 

এঘটনায় ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৪০) পলাশ উপজেলা রিপোটার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ- সভাপতি ও বাংলাদেশ বুলেটিনের পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি। অপরদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাশ নতুন বাজার এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মঞ্জুর আলম (৬০) ও তার দুই পুত্র সেতু (৩২) ও রোহান মিয়া (২২)।

 

ভুক্তভোগী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ জামে মসজিদে জুমুআর খুতবা চলছিল। এসময় মসজিদেই চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষমান ছিলেন অভিযুক্ত মঞ্জুর আলম। মঞ্জুর আলমের পাশেই বসে ছিলেন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম। এসময় হঠাৎ মঞ্জুর আলম পায়ের ওপর পা তুলে চেয়ারে বসলে দৃষ্টিকটু দেখা যাওয়ায় জাহিদ পা নামিয়ে বসতে বলেন। এনিয়ে নামাজ শেষে মঞ্জুরের সাথে তর্কে জড়ায় সাংবাদিক জাহিদসহ মসজিদের একাধিক মুসল্লী। এমন সময় মঞ্জুরের দুই ছেলে সেতু ও রোহান জাহিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং কিলঘুষি মারতে থাকে। আশেপাশের মুসল্লিরা একবার ফিরিয়ে দিলেও আবার একই আচরণ করে তারা। এতে জাহিদ আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

 

ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক আল আমিন মিয়া বলেন, মসজিদে সবাই যেখানে নিচে বসেন, সেখানে চেয়ারে বসাটাই অদ্ভুত লাগে। তবুও অনেকে অসুস্থ্য তাই নিচে বসতে পারেন না। পা ওঠিয়ে বসার পর জাহিদ নামিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। এটা নিয়েই তর্ক হয়। পরে নামাজ শেষে মঞ্জুর ও  তার দুই ছেলেসহ জাহিদকে মারধর করে।

 

আহত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আমি মঞ্জুর আলম নামে ঐ ব্যক্তির পাশেই বসেছিলাম। ওনি যখন পা ওঠিয়ে বসেন তখন ওনার পা ছিল প্রায় আমার কাধের ওপর, তাই অসুন্দর লাগছিল। পরে নামিয়ে ফেলতে বলার পর এখানেই আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। পরে নামাজ শেষে আমি চলে যেতে চাইলে ওনিসহ ওনার দুই ছেলে কিলঘুষি দিয়ে আমাকে জখম করেন। আমি এঘটনার বিচার চাই।

 

পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুক কবির বলেন, তুচ্ছ একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে এই মারধরে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।