ঘোড়াশালে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গণশৌচাগার দখল করে গোডাউন দেয়ার অভিযোগ

১৪ মার্চ ২০২১, ০৪:৫২ পিএম | আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পিএম


ঘোড়াশালে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গণশৌচাগার দখল করে গোডাউন দেয়ার অভিযোগ

আল-আমিন মিয়া:

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারের গণশৌচাগার দখল করে গোডাউন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর ধরে জোর পূর্বক ঘোড়াশাল বাজারের গুদারাঘাটে অবস্থিত ওই গণশৌচাগারটি অবৈধভাবে দখল করে গোডাউন বানিয়ে ভাড়া দিয়ে রেখেছে আবু তাহের নামে এক যুবলীগ নেতা। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঘোড়াশাল বাজারের ব্যবসায়ীদের।

সরেজিমনে গিয়ে জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াশাল বাজারের গুদারাঘাটে অবস্থিত গণশৌচাগারটি প্রতিদিন বাজারে আসা প্রায় হাজারও মানুষ ব্যবহার করতো। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গুদারাঘাটে অবস্থিত দীর্ঘ বছরের পুরাতন গণশৌচাগারটি ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় প্রায় ৪ বছর আগে বাজারের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘোড়াশাল পৌরসভা একটি উন্নতমানের গণশৌচাগার নির্মাণ করে বাজার কমিটির কাছে হস্তান্তর করে। পরে বাজার কমিটির সুপারিশে ইজারার মাধ্যমে ওই গণশৌচাগারটি রাজেন নামে এক পরিচ্ছন্ন কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কিন্তু প্রায় আড়াই বছর আগে জোর পূর্বক ওই গণশৌচাগারটি অবৈধভাবে দখল করে নেয় আবু তাহের নামে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা। তিনি ঘোড়াশাল পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বরত বলে জানা যায়।

গণশৌচাগারটি ইজারাদার রাজেন জানায়, ঘোড়াশাল বাজারের পুরাতন এই গণশৌচাগারটি ব্যবহারে অনুপযোগী ছিল। এ বাজারের ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে প্রায় ৪ বছর আগে একটি এনজিওর অর্থায়নে আধুনিক একটি গণশৌচাগার নির্মাণ করে ঘোড়াশাল পৌরসভা। কিন্তু আবু তাহের জোরপূর্বক শৌচাগারটি দখল করে গোডাউন বানিয়ে তার বোন জামাইয়ের কাছে ভাড়া দেয়। বিষয়টি একাধিকবার বাজার কমিটি ও ঘোড়াশাল পৌরসভাকে অবগত করেও কোনো সমাধান হয়নি।

তিনি আরও বলেন, এতে করে এখানকার ইজারার হারও অর্ধেকে নেমে এসেছে। জানতে চাইলে ঘোড়াশাল বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে আবু তাহের এই গণশৌচাগারটি দখল করে নেয়। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে দাবি করে জেলা পরিষদ থেকে নাকি শৌচাগারটি লিজ নিয়েছে।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা আবু তাহেরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখানে আমার একটি দোকান ছিল। শৌচাগারটি নির্মাণের সময় আমার দোকানটি ভেঙে দেয়। তখন আমি এলাকায় ছিলাম না। কিন্তু শৌচাগারটি ঠিকমত ব্যবহার না হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরে আমি এটি দখলে নিয়ে গোডাউন বানিয়ে ভাড়া দিয়েছি।

এ ব্যাপারে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র শরিফুল হক বলেন, ঘোড়াশাল বাজারের গণশৌচাগারটি অবৈধভাবে দখল করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি আজকেই শুনেছি। গণশৌচাগারটি অবৈধ দখল মুক্ত করতে অতিদ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।



এই বিভাগের আরও