পলাশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, ২ জন গ্রেপ্তার

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৭:০৮ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৬ এএম


পলাশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, ২ জন গ্রেপ্তার
অটোরিকশা চালক ইয়াকুব মিয়া

আল-আমিন মিয়া:
নরসিংদীর পলাশে মো. ইয়াকুব মিয়া (১৬) নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে আল-আমিন (২৫) ও পাভেল মিয়া (২৫) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নরসিংদীর সদর উপজেলার রাজাদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আল-আমিন সদর উপজেলার রাহাদী গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে ও পাভেল মিয়া একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।

থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ধনাইরচর গ্রামের মোঃ ইলিয়াস মিয়ার ছেলে নিহত ইয়াকুব মিয়া পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে ইয়াকুব মিয়ার অটোরিকশা করে গ্রেপ্তারকৃত আল-আমিন ও পাভেল মিয়া ঘুরতে বের হয়। কিন্তু রাত প্রায় সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ঘুরার পরও চালক ইয়াকুব মিয়ার অটো ভাড়া পরিশোধ না করে উল্টো ইয়াকুব মিয়াকে মারধর করে তার কাছ থেকে ৪০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় আল-আমিন ও পাভেল মিয়া।
পরে রাতে বাড়ি ফেরার পর চালক ইয়াকুব মিয়া ঘটনাটি তার মা আমেনা বেগমকে অবগত করে। এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রতিদিনের ন্যায় ইয়াকুব মিয়া তার অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর শনিবার বিকালে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের দড়িরচর এলাকার হাড়িধোয়া নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করার পর নিহত ইয়াকুব মিয়ার পরিবার তার পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহত ইয়াকুব মিয়ার মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসির উদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অটোরিকশা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে চালক ইয়াকুব মিয়াকে শ^াসরোধে হত্যা করে হাড়িধোয়া নদীতে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। যেহেতু আগের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি অটোভাড়া ও টাকা নিয়ে যাওয়ার একটি ঘটনা ঘটেছে। তাই চালক ইয়াকুব মিয়ার মা আমেনা বেগমের অভিযোগ অনুযায়ী সন্দেহজনক ভাবে আল-আমিন ও পাভেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া নিহত চালক ইয়াকুব মিয়ার অটোরিকশাটি উদ্ধার করা ও এই হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।



এই বিভাগের আরও