পলাশে হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে

১৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:০৪ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম


পলাশে হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে

আল-আমিন মিয়া:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় বিষপান করার কথা বলে ১৪ জানুয়ারি হাসপাতালে নিয়ে ফেলে যাওয়া নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত ওই নারীর নাম জনি বেগম (২১)। নিহত জনি বেগম গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নারগানা গ্রামের করিম মোড়লের মেয়ে।

জনি বেগম প্রেমিকের বাড়িতে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হয়েছে থানা পুলিশ। বিষপানের পর ওই নারীকে চিকিৎসার কথা বলে পলাশ উপজেলা হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় কথিত প্রেমিক মুঞ্জুর হোসেন (২৩)। পরে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নিহত নারীর পিতা বাদী হয়ে পলাশ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। কথিত প্রেমিক মুঞ্জুর হোসেন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ধনারটেক গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, জনি ও মুঞ্জুর পলাশের স্যামরি ডাইং কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। কাজের সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তাদের সম্পর্কটি গভীরে পৌঁছালে জনি মুঞ্জুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে বিয়ে না করলে গত বুধবার জনি বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মুঞ্জুরের বাড়িতে গিয়ে উঠে। সেখানে মুঞ্জুর হোসেন বিয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করলে একপর্যায়ে জনি বেগম বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

পলাশ থানার ওসি শেখ মো: নাসির উদ্দিন জানান, কথিত প্রেমিক মরদেহটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মরদেহটির পরিচয় নিশ্চিত করে মামলা নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মুঞ্জুর হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।