পলাশের স্কুলগুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট ফি’র নামে অর্থ আদায়

০৯ নভেম্বর ২০২০, ০৩:৫৪ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২০ এএম


পলাশের স্কুলগুলোতে অ্যাসাইনমেন্ট ফি’র নামে অর্থ আদায়

আল-আমিন মিয়া:
নরসিংদীর পলাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনফল মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট ফি গ্রহণের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অ্যাসাইনমেন্টের নামে কোন ফি গ্রহণ না করার জন্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিলেও পলাশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তা না মেনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত অর্থ আদায় করছে। এতে করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।


পলাশের ইছাখালী ফাজিল মাদ্রাসার মতিউর রহমান নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করে জানান, তন্নী ও তামিম নামে দুই শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্টের ফি ৫০ টাকা আনতে পারেনি বলে তাদেরকে আবার মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় টাকা আনার জন্য ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী।


এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ক.ম রেজাউল করিম অ্যাসাইনমেন্টের ফি বাবদ ৫০ টাকা আদায় করার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, অনেকগুলো ফটোকপি করতে হয় তাই ফটোকপির টাকা হিসেবে এ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর মাদ্রাসা থেকে টাকার জন্য শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার বিষয়টা আমার জানা নেই।


এদিকে পলাশের পারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল আলীও অ্যাসাইনমেন্ট ফির নামে অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করে জানান, এটা ফটোকপি বাবদ খরচ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া পলাশের পূবালী উচ্চ বিদ্যালয়, রাবান উচ্চ বিদ্যালয়, ডাঃ নজরুল বিন নূর মহসিন বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ, গয়েশপুর পি এল উচ্চ বিদ্যালয় সহ পলাশের একাধিক স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট ফির নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম ফজলুল হক পলাশের বিভিন্ন স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট ফির নামে অর্থ আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সোমবার সকালে অফিসে এসেই কয়েকটি স্কুলে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাই। পরে বিভিন্ন স্কুলের প্রধানগণকে ফোন দিয়ে টাকা না নেওয়ার জন্য নিষেধ করি। অ্যাসাইনমেন্ট ফির নামে অর্থ আদায়ের কোন নিয়ম নেই। যদি কোন প্রতিষ্ঠান টাকা নেয়, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।



এই বিভাগের আরও