মারলে মারমুখী হয়ে উঠে সন্তান

২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৪:৪২ এএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম


মারলে মারমুখী হয়ে উঠে সন্তান
অনলাইন ডেস্ক ‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’ বহুল প্রচলিত এই কথাটি কিন্তু সব ক্ষেত্রে সঠিক না। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে তো একেবারেই নয়। যদিও অনেক অভিভাবকই মনে করেন শাসন করতে গেলে দু-চারটি মার তো দিতেই হয় সন্তানকে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব সন্তানকে প্রহার করা হয় তারা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি জেদি হয় এবং ভবিষ্যতে  তাদের উগ্র আচরণ করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তারা বেশ হিংস্র আচরণ করে থাকে। ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের মেডিকেল ব্রাঞ্চ ৮০০ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপরে জরিপ চালিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে। জরিপটি চালানো হয় ১৯ এবং ২০ বছর বয়সীদের উপরে। ৭৫৮ জন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৬৮% জানিয়েছেন ছোট বেলায় তাদেরকে প্রহার করা হয়েছিল এবং ১৯% মানুষ জানিয়েছেন যে তারা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। জরিপের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছোট বেলায় প্রহারের কারণে বড় হওয়ার পরে আচরণ আক্রমণাত্মক হয় কিনা তা দেখা। জরিপে দেখা যায় যেসব ব্যক্তি তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক আচরণ করছেন তারা ছোট বেলায় অভিভাবকের প্রহারের স্বীকার হয়েছিলেন। গবেষকরা অবশ্য এর পেছনের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। সন্তানের যে কোনো অপরাধে তাকে শারীরিক ভাবে আঘাত করলে বেড়ে ওঠার পরে তার মনে হবে যে কোনো সমস্যার সমাধান গায়ে হাত তুললেই মেলে। তাই তারা সঙ্গী তো বটেই, যে কারও সঙ্গে খুব সহজেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ফ্রান্স, সুইডেন এবং স্কটল্যান্ডে শিশুদেরকে প্রহার করা নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়াও ইংল্যান্ডেও এই ব্যাপারে আছে কঠিন বিধি নিষেধ। আর তার কারণ হলো শারীরিক শাস্তি শিশুদের মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে যা তাদের জেদ বাড়িয়ে দেয় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেও তাদের আচরণে এর প্রভাব পড়ে। এক্সপ্রেস।


এই বিভাগের আরও