নরসিংদীতে পিঠা খাওয়ার পর ১ জনের মৃত্যু, একই পরিবারের ৬ জন অসুস্থ

০২ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:১২ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম


নরসিংদীতে পিঠা খাওয়ার পর ১ জনের মৃত্যু, একই পরিবারের ৬ জন অসুস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
নরসিংদীতে বাসায় তৈরি তালের পিঠা খাওয়ার পর রানী আক্তার (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়েছেন একই পরিবারের শিশু ও নারীসহ ৬ জন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের চাঁনগাও এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত রানী চাঁনগাও এলাকার আতাউর রহমানের মেয়ে।


অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, আতাউর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম (৪৫), মেয়ে সুবর্ণা আক্তার (১২), নাতনী মুন্নী আক্তার (১১) তিন্নী আক্তার (৮), লিজা আক্তার (৫) ও আবদুল্লাহ (৩)। আহতরা সবাই বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

পুলিশ জানায়, গত সোমবার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রানী আক্তার। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালের পিঠা তৈরি করেন মা রিনা বেগম। সন্ধ্যায় রিনা বেগম মেয়ে ও ছেলের ঘরের নাতি নাতনীদের নিয়ে ওই পিঠা খান। পিঠা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন আহতদের রাতেই নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রানী আক্তার মারা যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আমীরুল হক শামীম বলেন, আলামতটি আমরা ল্যাব টেষ্টে পাঠিয়েছি। তারপর নিশ্চিত হওয়া যাবে ঠিক কী কারণে পিঠা বিষক্রিয়া হল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পিঠায় ব্যবহৃত রং বা পিঠায় বিষাক্ত পদার্থ থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে।


মাধবদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন, নিহতের লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই একই পরিবারের। মূলত তালের পিঠা খেয়েই সবাই অসুস্থ হয়েছেন। এখন পিঠায় কিভাবে বিষক্রিয়া হয়েছে সেটা নিহতের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বলা যাবে। এছাড়া যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদেরকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।



এই বিভাগের আরও