নরসিংদীর ৫ টি আসনে আওয়ামী লীগের একমাত্র বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা

০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০১:৩১ পিএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ এএম


নরসিংদীর ৫ টি আসনে আওয়ামী লীগের একমাত্র বিদ্রোহী প্রার্থী  বর্তমান সাংসদ মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা
নরসিংদী প্রতিনিধি জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে একমাত্র নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান সাংসদ মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি তিনি। এতে তাঁর অনুসারী দলের কর্মী-সমর্থকরা হতাশ হয়েছেন। তাই তাদের অনুরোধে দশম সংসদ নির্বাচনের মত এবারও স্বতন্ত্র পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এই আসনে অন্য প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের জহিরুল হক ভূঞা মোহন, বিএনপির মনজুর এলাহী, জাতীয় পার্টির আলমগীর কবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ডা. মো. আলতাফ হোসেন, গণফোরামের এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, জাকের পার্টির রাজীব হোসেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন নরসিংদী-৩ (শিবপুর)। বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এখান থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচন হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে পরাজিত করে নৌকা প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হন জহিরুল হক ভূঞা মোহন। সে সময় দলীয় নেতাকর্মী হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সমালোচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জহিরুল হক ভূঞাকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র সাংসদ নির্বাচিত হন মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। এতে এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার তিনিসহ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন আটজন। কিন্তু মনোনয়ন পান জহিরুল হক ভূঞা মোহন। এতে তাঁর অনুসারী ও দলের নেতা কর্মীরা ব্যাপকভাবে হতাশ হন। পরবর্তীতে দলীয় কর্মী সমর্থকদের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি। তবে তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পদ থেকে সরে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অনুরোধ করলেও গতকাল রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তিনি তা করেননি। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বিভক্ত হয়ে পড়ছেন। এব্যাপারে সাংসদ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগের মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও রাজনীতি করছি একমাত্র জনগণের জন্য। আর এই জনগণ তথা শিবপুরের আপামর সাধারণ মানুষের অনুরোধেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। তাঁদের চাওয়াকে অবমূল্যায়ন করতে পারব না বলেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারিনি।’


এই বিভাগের আরও