পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতির অভিযোগ রায়পুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু

০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:০৭ এএম | আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম


পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতির অভিযোগ রায়পুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ [caption id="attachment_2986" align="alignnone" width="480"] TNT[/caption] নরসিংদীর রায়পুরায় পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের একটি চলমান লাইনের স্পর্শে মনিরা বেগম (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রায়পুরা উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়নের আদিয়াবাদ পিবিনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মনিরা বেগম আদিয়াবাদ পিবিনগর এলাকার সাত্তার মিয়ার মেয়ে ও নরসিংদী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আদিয়াবাদ পিবিনগর এলাকার বিদ্যুৎ লাইনটি নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সদর (বিলাসদী) জোনাল অফিসের আওতাধীন। এই এলাকা দিয়ে পূর্বে ১১ হাজার ভোল্টেজেরও একটি বিদ্যুৎ লাইন ছিল। পরবর্তীতে ৩৩ হাজার ভোল্টেজের নতুন সঞ্চালন লাইন গেলে আগের লাইনটি অকেজো হয়ে পড়ে। এদিকে সম্প্রতি ৩৩ হাজার ভোল্টেজের লাইনটির বৈদ্যুতিক তার অনেকটা নিচে নেমে গেছে। যা বিভিন্ন অজুহাতে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংস্কার না করায় বিপদজনক হয়ে আছে। এদিকে আগের ১১ হাজার ভোল্টেজের লাইনটি অকেজো হওয়ায় অসাবধানতাবশত শুক্রবার সকালে কলেজ ছাত্রী মনিরা বেগম কাচা লাকড়ি (ধইনচা) নিয়ে যাওয়ার সময় ওই তারে লেগে যায়। এসময় অকেজো তারটি হঠাৎ ৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে লেগে যায়। এসময় অকেজো লাইনের তার বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মনিরা বেগম মারা যায়। নিহতের বাবা সাত্তার মিয়া ডৌকারচর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের চাকরি করেন। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সদর জোনাল অফিসের সহকারি মহাব্যবস্থাপকের (ডিজিএম) ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা সাহিনুর আক্তার (এজিএম) বলেন, ‘৩৩ হাজার ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইনটি দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় অনেকটা নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে সেটির সংস্কারে কাজ চলছে। স্থানীয় লোকজনকে অনেক নিষেধ করার পরও তারা ডেথ (অকেজো) লাইটিতে কাপড়চোপড় শুকাতে দেয়। তাদের অসাবধানতার কারণেই আজকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখানে আমাদের কোন গাফিলতি ছিল না।’ ডৌকার চর ইউপি সদস্য শামীম ভূঁইয়া বলেন, এখানে যে তাঁরটি নিচে গেছে আমরা পল্লী বিদ্যুৎকে দরখাস্তের মাধ্যমে জানিয়েছি। কিন্তু তারা তেমন গুরুত্ব দেয়নি। যার কারণে আজকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার পর পল্লী বিদ্যুতের এক ইঞ্জিনিয়ার এসে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে গেছেন।’ নিহতের বাবা সাত্তার মিয়া বলেন, আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমরা ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আমার মেয়েটা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছে। তাই তার ময়নাতদন্ত হউক সেটা আমরা কেউ চাই না। এ ব্যাপারে আমাদের কোন অভিযোগও নেই। এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের আপত্তিতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে আনতে পরেনি। এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগও করেনি।


এই বিভাগের আরও