নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হত্যার আসামি মোবারকের শ্বশুরের বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার

৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০২:২৫ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম


নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হত্যার আসামি মোবারকের শ্বশুরের বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার

নরসিংদীর পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার মোবারক হোসেন ওরফে মোবার শ্বশুরেরবাসা থেকে ৭ রাউন্ড গুলিসহ দুটি পিস্তল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে শহরের পশ্চিমব্রা‏হ্মন্দী মহল্লা থেকে এ অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে রাজধানীরডিওএইচএস এলাকার একটি বাসা থেকে মোবারক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রুপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ জানায়, মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোবারক হোসেন  ওরফে মোবালোকমান হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আগে থেকে মালয়েশিয়ায় পলাতক ছিলেন।লোকমান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রঅনুযায়ী ওই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মোবারক।তিনি গত ২৫ অক্টোবর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন।নরসিংদীতে তার মালিকানাধীন একটি জমি বিক্রি করতেই দেশে এসে আত্মগোপনে ছিলেন।পুলিশ নজরদারি ও তথ্য প্রযুক্তিরসহায়তায় রাজধানীর ডিওএইচএসের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।এসময় তার সঙ্গে রেহানুল ইসলাম ভূঁইয়ালেলিন নামের আরেকজনকে আটক করা হয়।লেনিনও বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

মোবারক হোসেনকে গ্রেফতারের পর নরসিংদী নিয়ে এসে তার দেওয়া তথ্যমতে শহরের পশ্চিম ব্রা‏হ্মন্দী মহল্লায়তার শ্বশুরেরবাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ।এসময় ওই বাসা থেকে ৭ রাউন্ড গুলি ও ২টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।মোবারকহোসেনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় পুলিশ।এদিকে তাকে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিচারেরদাবিতে লোকমান সমর্থকরা বুধবার সকালে শহরে  বিক্ষোভ মিছিল বের করে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) লোকমানহত্যার সপ্তম বার্ষিকী।

২০১১ সালের ১ নভেম্বর পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করেসন্ত্রাসীরা।এহত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদের ছোটভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এরমধ্যে মোবারকহোসেন মোবা বিদেশে পলাতক ছিলেন।বাকি ১৩ জনের সবাই গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে আসেন।পুলিশ ৮ মাসতদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৪ জুন সালাউদ্দিনসহ এজাহারভুক্ত ১১ আসামিকে বাদ দিয়ে ১২  জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রদেয়।এতে মামলার এজহারভুক্ত তিন নম্বর আসামি শহর আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোবারক হোসেন, এজাহারভুক্তদুই নম্বর আসামি নরসিংদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আবদুল মতিনসরকার, তার ছোট ভাই শহর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম সরকারসহ ১২ জনকেঅভিযুক্ত করা হয়।

পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ২০১২ সালের ২৪ জুলাই নরসিংদীর মুখ্য বিচারিক  হাকিম আদালতেমামলার বাদী কামরুজ্জামান নারাজি দেন।আদালত ২৫ জুলাই নারাজি আবেদন খারিজ করে অভিযোগপত্র বহাল রাখেন।পরবর্তীতে ২৮ আগস্ট নারাজি আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন বাদী।আদালত ২সেপ্টেম্বর সেই আবেদন গ্রহণ করে ৪ নভেম্বর শুনানি শেষে ফের নারাজি আবেদন খারিজ করেন।এরপর উচ্চ আদালতে যানবাদী।তিনি ওই অভিযোগপত্র বাতিল করে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মাধ্যমে আবার তদন্তের দাবি জানিয়ে নিম্নআদালতে বিচারকার্য স্থগিত রাখতে রিট পিটিশন দাখিল করেন।আদালত বাদীর আবেদনটি আমলে নিয়ে নিম্ন আদালতেবিচারকার্য স্থগিত করে দেন।



এই বিভাগের আরও