বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি

০৫ মার্চ ২০১৮, ০৬:১৫ এএম | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১২ পিএম


বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি
অনলাইন ডেস্ক [caption id="attachment_1833" align="alignnone" width="1073"] ছবিঃ সংগৃহীত[/caption] ৩৮তম বিসিএসের ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রোববার সকাল থেকে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে সাড়ে নয়টা থেকে পিএসসির সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পর বেলা ১২টার দিকে চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। জানা গেছে, চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করতে গেলেও পিএসসি চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক তাদের সাথে দেখা করেননি। এ বিষয়ে কোন কথা বলতেও রাজি হননি তিনি। তবে, একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করে তিনি পরবর্তীতে স্মারকলিপি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। পিএসসির সামনে অবস্থান নেয়া প্রায় শ’খানেক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ভালো পরীক্ষা দিয়েও প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাদ পড়েছেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, পরীক্ষায় প্রায় ১২৪ নম্বর পাওয়ার আশা করলেও অকৃতকার্য হয়েছি। অপরদিকে পরিচিত অনেকেই ১০৪-১০৫ নম্বর পেয়ে সফল হয়েছেন। অপর শিক্ষার্থী পলাশ জানান, কমিশন এ পর্যন্ত চারবার ফলাফল প্রদান করেছে। ভালো পরীক্ষা দিয়েও এ ধরণের ফল হতাশাব্যঞ্জক। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদি কবির জানান, ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে মোট ১৪টি অসঙ্গতিপূর্ণ ও ভুল প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে পিএসসি কোন মানদণ্ড ধরে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছে তা কারো কাছে স্পষ্ট নয়। শিক্ষার্থীদের দাবি সাধরণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাধারণ, পেশাগত, ও কারিগরি ক্যাডারে ভিন্ন নম্বরে প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পঠিত বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন কাট মার্কসে শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে দাবি তাদের। এছাড়া পূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত পিএসসির নষ্ট ওএমআর মেশিনের বিষয়টিও তুলে ধরেন তারা। অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন করে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার প্রায় দু’মাসের মাথায় ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে মোট ১৬ হাজার ২৮৬ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। ফল প্রকাশের পর থেকেই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।