শীলমান্দীতে চাঁদা না পেয়ে মৎস্য খামারে হামলার অভিযোগ

১৭ এপ্রিল ২০২০, ০৬:১৫ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম


শীলমান্দীতে চাঁদা না পেয়ে মৎস্য খামারে হামলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দী এলাকায় চাঁদা না পাওয়ায় একটি মৎস খামারে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় খামারে ব্যবহৃত জাল, নৌকা, ছোট ছোট ঘর, অফিস ঘর ভাংচুর করে ও পুড়িয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে শীলমান্দী ইউনিয়নের সোনালী মৎস্য খামারে।


এ ঘটনায় মৎস খামারের ভাড়াটিয়া মালিক মধ্য শীলমান্দি গ্রামের আঃ ছালামের পুত্র আল মামুন বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছেন।


এতে অভিযুক্তরা হলেন- দক্ষিণ শীলমান্দী গ্রামের মৃত আঃ হেকিমের পুত্র সোহরাব মিয়া, একই গ্রামের আঃ ছাত্তার, রেজাউল, মমিন, মোহাম্মদ আলী, ইয়াছিন, ইসমাইল, তাজু মিয়া ও কারুল মিস্ত্রী।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শীলমান্দী বিলপাড় এলাকায় দক্ষিণ শীলমান্দী গ্রামের সুন্দর আলী মেম্বারের পরিবারের নিকট থেকে ১০০ বিঘা জমির উপর বিল (সোনালী মৎস্য খামারের পুকুর) ভাড়া নিয়া দেড় বৎসর যাবত মাছ চাষ করে আসছেন আল মামুন। এরই মধ্যে সোহরাব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আল মামুনের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে সোহরাব ও তার বাহিনী খামারে গিয়ে খামারের ম্যানেজার মোঃ কবির হোসেনসহ কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।

এর পরদিন আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় সোহরাব ও তার সহযোগী বহিরাগত একাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাছের খামারে প্রবেশ করে। এসময় সেখানে তিনটি টং ঘর, ৩৫ টি মাছ ধরার জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খামারে ব্যবহৃত ৮ টি ডিঙ্গি নৌকা নষ্ট করাসহ জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে ওই খামারের প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে দাবি মামুনের।


এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত সোহরাবের বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন সোহরাবের ফোন নাম্বার দিতেও অস্বীকৃতি জানান।



এই বিভাগের আরও