নরসিংদীতে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:২০ পিএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম


নরসিংদীতে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যৌতুক না দেয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের দেয়া আগুনে ৫দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু বরণ করেছেন রুমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে মৃত্যু হয় তার। নিহত রুমা আক্তার নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দি ইউনিয়নের মধ্য শিলমান্দি এলাকার রাজমিস্ত্রী কাজল মিয়ার মেয়ে ও মাধবদীর গদাইরচর এলাকার বিপ্লব মিয়ার স্ত্রী।

নিহতের পরিবার ও থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় বিপ্লব ও রুমা দম্পত্তির। বিয়ের পর থেকেই রুমার পরিবারের কাছে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে আসছিলো বিপ্লব ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতে অপরাগতা প্রকাশ করায় ইতোপূর্বে একাধিকবার কলহেরও সৃষ্টি হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে এনিয়ে তাদের মধ্যে পুনরায় বিবাধের সৃষ্টি হয়। এসময় বিপ্লব তার অপর দুই ভাই সৌরভ ও সৈকত এবং বাবা দুলা মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তাকে আঘাত ও পরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এতে গৃহীনির আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বে-সরকারী হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটলেও শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এক কন্যা সন্তানের এই জননীর। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে নিহতরে পরিবারের অভিযোগ থাকলেও এলাকাবাসীর রয়েছে ভিন্ন মত।

নিহত খাদিজার বাবা ও মামলার বাদী মো. কাজল মিয়া জানান, যৌতুকের টাকা দিতে পারিনি বলে আমার মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, মামলা হওয়ার পরপরই নিহত খাদিজার স্বামী মো. বিপ্লব মিয়া ও শ্বশুর দুলা মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।



এই বিভাগের আরও