নরসিংদীর কৃতি সন্তান- প্রতীক আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে

১৭ আগস্ট ২০১৯, ১১:০০ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২০ এএম


নরসিংদীর কৃতি সন্তান- প্রতীক আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র তাইফুর প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র তাইফুর প্রতীককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বোন ঢাবির শিক্ষক শান্তা তাওহিদা। তিনি অভিযোগ করেন শিক্ষক নিয়োগে ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার হয়েছেন তার ভাই। বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদছে তার ভাই হত্যার কোন সুরাহা হচ্ছে না। এটি আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার ভাই কোনভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতীকের একটি পা ও হাতের দুটি আঙ্গুল ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার কোন এভিডেন্স পাওয়া যায়নি। নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রতীককে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। এমনকি ময়নাতদন্ত রিপোর্টও সাজানো বলে দাবি করেছেন শান্তা তাওহিদা। এনিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, তাইফুর প্রতীক নরসিংদীর কৃতি সন্তান। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান করা প্রতীককে মেরে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু প্রতীক আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতীকের একটি পা ও হাতের দুটি আঙ্গুল ভাঙ্গা অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার কোন এভিডেন্স পাওয়া যায়নি! যারা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রতীককে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে নিজেদের পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে চেয়েছেন তাদের বলছি...

সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেয়া যায় না, সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই। প্রতীকের আত্মহত্যা নিয়ে শুরুতেই পুলিশের বক্তব্য ছিল, এই মৃত্যু সন্দেহজনক। দেরিতে হলেও এবার সেই সন্দেহের সত্যতা মিলল।

প্রতীকের মৃত্যুর পর তার মৃত্যুকে ধামাচাপা দেবার জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতীকের নামে নানা রিউমার ছড়ানো হয়েছে। একজন মৃত মানুষের নামে অপবাদ ছড়ানোর বিচার সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই করবেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি সিলেট নগরীর কাজলশাহ এলাকার একটি বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী তাইফুর রহমান প্রতীকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতীক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১১-১২ সেশনের ছাত্র ছিলেন। এই মেধাবী ছাত্র অনার্সে ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হলেও মাস্টার্সে তার ফল খারাপ হয়েছে।

এরজন্য বিভাগের শিক্ষকদের দায়ি করা হয়েছে প্রতীকের পরিবারের পক্ষ থেকে। এনিয়ে প্রতীক প্রায়ই হতাশ থাকতেন বলেও পরিবারের সদস্যরা উল্লেখ করেছেন। প্রতীকের মৃত্যুর পর তার সহপাঠীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা এঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

শুধু শাবিতে নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে জড়িত শিক্ষকদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে। অথচ প্রতীকের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে শাবি প্রশাসনের টনক নড়ছে না। এঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিও আলোর মুখ দেখেনি।



এই বিভাগের আরও