নরসিংদীতে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার, ৬ অপহরণকারী গ্রেফতার

০৮ জুলাই ২০১৯, ০৪:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০২:৪১ পিএম


নরসিংদীতে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার, ৬ অপহরণকারী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে অপহরণের পর বায়েজিদ ইব্রাহিম (১৪) নামে ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবীকারী অপহরণকারী চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপহরণের শিকার বায়েজিদ শিবপুর উপজেলার ভরতের কান্দি এলাকার ব্যাংক কর্মকর্তা মো: ইলিয়াছের ছেলে ও নরসিংদী শহরের জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র।


গ্রেফতারকৃতরা হলো- শিবপুরের ভরতেরকান্দি এলাকার শামসুল হকের ছেলে খালেদ মিয়া (২৫), সাধার চরের নাজমুল হাসানের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) দক্ষিণ কারাচরের বাবুল মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (১৭), পলাশ উপজেলার ধনাইয়া এলাকার বশির মিয়ার ছেলে ও দক্ষিণ কারার চরের ভাড়টিয়া রানা মিয়া (১৮), পলাশের বক্তারপুর এলাকার রাশেদুল ইসলাম (২১), বেলাব উপজেলার মরিচাকান্দা এলাকার উত্তম কুমার দাসের ছেলে শিবপুরের মধ্য কারার চর এলাকার ভাড়াটিয়া নয়ন দাস (১৯)।
এ ঘটনায় জড়িত রায়পুরার পলাশতলী এলাকার সৌরভ (২০) নামে আরও এক আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।


পুলিশ সুপার বলেন, গত শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে পরীক্ষা শেষে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরছিলো বায়েজিদ ইব্রাহিম। মাদ্রাসার অদূরে বনবিভাগ এলাকায় পৌঁছলে অপহরণকারীরা বায়েজিদ ইব্রাহিমকে জোরপূর্বক একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেয়। পরে তাকে জেলার রায়পুরা, বেলাব, মাধবদী, পলাশসহ বিভিন্ন স্থানে জিম্মি করে আটক রাখে অপহরণকারীরা। ঐদিনই অপহরণকারীরা ফোন করে পরিবারের নিকট ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে, অন্যথায় হত্যার পর মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ গুম করে রাখার হুমকি প্রদান করে।


বিষয়টি অপহৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিনকে জানানো হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক জাকারিয়া আলম ওই রাতেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পলাশ উপজেলার দড়িচর এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র বায়েজিদ ইব্রাহিমকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত গাড়ির নাম্বারের তথ্য ও একটি সিএনজি পাম্পের সিসি ফুটেজ দেখে রাশেদুল নামে একজনকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে নারায়ণঞ্জসহ নরসিংদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অপহরণকারীরা অল্প সময়ের মধ্যে ধনী হওয়ার ইচ্ছে থেকেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিল বলে জানান পুলিশ সুপার।

 



এই বিভাগের আরও