মাধবদীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:৩৭ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ পিএম


মাধবদীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর মাধবদীতে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠেছে। এসিড আক্রান্ত্রের শিকার গৃহবধু তাসলিমা বেগম (২৫) সদর উপজেলার বথুয়াদী গাজীরগাঁও এলাকার মো: আমান উল্লাহ’র স্ত্রী। আমান উল্লাহ পেশায় মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুচর পূর্বপাড়া মসজিদের ইমাম।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে মাধবদী থানার পৌলাণপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় গৃহবধু তাসলিমাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


পুলিশ ও তাসলিমার স্বজনেরা জানান, সংসারে অভাব অনটনের কারণে ৭/৮ মাস আগে চাকুরি নিয়ে সৌদী আরব চলে যান গৃহবধু তাসলিমা বেগম। দুই মাস আগে দেশে ফিরে তাসলিমা বেগম জানতে পারেন স্বামী আমানুল্লাহ দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর থেকে তাসলিমা বেগম তার তিন সন্তানকে নিয়ে পৌলাণপুরে পিত্রালয়ের বাড়ির পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে আলাদা বসবাস শুরু করেন। সোমবার দিবাগত রাতে স্ত্রী তাসলিমার বাসায় আসেন স্বামী মো: আমানুল্লাহ। স্বামী সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়ার এক পর্যায়ে রাত তিনটার দিকে হঠাৎ তাসলিমা ও তার সন্তানদের চিৎকার শুনতে পান পাশের কক্ষে থাকা স্বজনেরা।

এসময় স্বজনেরা গিয়ে দেখতে পান এসিড জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে তাসলিমার শরীরের গলায়, পেটে, বুকে ও উরুতে। এ ঘটনার পরই পালিয়ে যায় স্বামী আমানুল্লাহ। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্বজনেরা আহতাবস্থায় তাসলিমাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে পাঠান।

আহত তাসলিমার ছোট বোন ইয়াসমিন আক্তার নরসিংদী টাইমসকে বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের পর আপার (তাসলিমা) সাথে তার স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না। আমরা তাকে বুঝিয়ে স্বামীকে মেনে নিয়ে সংসার করতে বলেছিলাম। এরই মধ্যে পরিকল্পিতভাবে তার স্বামী এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটিয়েছে।এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আমিরুল হক শামীম বলেন, এসিড জাতীয় পদার্থে আক্রান্ত হয়ে তাসলিমার শরীরের প্রায় ১৫ শতাংশ ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আলম বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আমান উল্লাহ পলাতক রয়েছে।



এই বিভাগের আরও