নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে স্বজনদের বিক্ষোভ

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৯ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম


নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে স্বজনদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল অপারেশনে ঝর্ণা বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে লাশ নিয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনেরা।

গতকাল রোববার রাত ৮ টার দিকে শহরের পায়রা চত্বরে পলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ভুক্তভোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন, রোগীর গলার থাইরয়েড অপারেশনের সময় ঘাড়ের রগ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত রোগী নাম ঝর্ণা বেগম (৩৪) নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার নোয়াদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

নিহতের স্বজন মামুন জানান যে, ঝর্ণা বেগম গলায় থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছিলেন। এজন্য তিনি গত শনিবার বিকেল ৫টায় নরসিংদী শহরের পলি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়। সেখানে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ইফতেফার ইসলাম দীপু তাকে অপারেশন করার কথা জানালে তারা সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝর্ণাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়। অপারেশন শুরুর পর থেকে দীর্ঘ সময় পার হলেও রোগীকে অপারেশন রুম থেকে বের করা হচ্ছিল না। এর পর চাপ প্রয়োগ করলে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ রাত ১০টা ৪০ মিনিটে রোগীকে অপারেশন রুম থেকে বের করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর কথা বলেন।

এসময় রোগীর স্বজনরা তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জের গাউসিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমরা রবিবার সকাল ১০ টার দিকে ভুক্তভোগীকে ঢামেকে নেওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাদেরকে জানান যে, অনেক আগেই রোগী মারা গেছেন।

পরে ঢামেকে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাত ৮টার দিকে মরদেহ নরসিংদীতে ওই ক্লিনিকের সামনে নিয়ে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন স্বজনরা। ওই সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালের পরিচালক আলতাফ হোসেনকে ফোন করা হলেও সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি কল কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেন।

এছাড়া অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. ইফতেফার ইসলামকে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার জানান, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই হাসপাতালের সামনে ভুক্তভোগীর স্বজনরা জড়ো হয়। কিছুক্ষণ হাসপাতালের সামনে অবস্থানের পর মরদেহ নিয়ে চলে যায়। আমাদের কাছে কোন লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



এই বিভাগের আরও