মাধবদীতে অপহরণের দুই মাস পর কিশোরী উদ্ধার

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:১৭ এএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৯ এএম


মাধবদীতে অপহরণের দুই মাস পর কিশোরী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে অপহরণের প্রায় দুই মাস পর এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), নরসিংদী। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় নরসিংদীর মাধবদী থানার কান্দাপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই, নরসিংদীর পরিদর্শক মো: মনিরুজ্জামান সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 ওই কিশোরীকে অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম মো. নাজমুল মিয়া (২২)। তিনি মাধবদী থানাধীন কান্দাপাড়ার বাসিন্দা মো. আজমত মিয়ার ছেলে। তবে নাজমুল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

পিবিআই জানায়, মাধবদী থানাধীন কান্দাপাড়ার বাসিন্দা ১৭ বছর ওই কিশোরী পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার  গোপালদী  এলাকার একটি দাখিল মাদ্রসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে নাজমুল (২২) নামের এক যুবক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায়সহ নানাভাবে বিরক্ত করতো। এসব ঘটনায় ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে নাজমুলের পরিবারকে অভিযোগ জানালেও কোন প্রতিকার হয়নি।

ওই কিশোরী গত ১৮ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে আমদিয়া বাজার হতে কসমেটিক্স ক্রয় করে বাড়িতে ফিরছিল।পথে নেওয়াজের পুকুর পাড় এলাকার কাচা রাস্তায় পৌছালে আগে থেকে উৎপেতে থাকা নাজমুলসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে মুখ চেপে ধরে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাধা দিলে ওই যুবকেরা তাকে কিল, ঘুষি ও ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে চলে যায়। 

এই ঘটনার পরই ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নাজমুল মিয়াসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন মামলা করেন। আইনের ৭/৩০ ধারায় মামলা নং ৫৬/২০২০। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পিবিআই, নরসিংদীকে নির্দেশ দেন। পরে পিবিআই এর পরিদর্শক জামাল উদ্দিন খান ঘটনাটি তদন্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণের স্বীকার ওই কিশোরীকে অভিযুক্ত আসামী নাজমুলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক জামাল উদ্দিন খান জানান, পিবিআই, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. এনায়েত হোসেন মান্নানের তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় ওই কিশোরীকে উদ্ধারের জন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।