বারৈচায় থ্রি-হুইলার আটক, ঘুষ গ্রহণ ও হয়রানীর অভিযোগে হাইওয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ

০৪ জুলাই ২০২০, ০৬:৩১ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ এএম


বারৈচায়  থ্রি-হুইলার আটক, ঘুষ গ্রহণ ও হয়রানীর অভিযোগে হাইওয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ

বেলাব প্রতিনিধি:
নরসিংদীর বেলাবতে হাইওয়ে পুুলিশের বিরুদ্ধে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দায়িত্ব পালনের সময় মহাসড়কে না গেলেও অহেতুক সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ থ্রি-হুইলার আটক ও ঘুষ গ্রহণ করে ছেড়ে দেয়াসহ চালকদের হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এসব হয়রানীর প্রতিবাদে শনিবার (০৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে থ্রি-হুইলার চালকরা।


ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ থ্রি-হুইলার চালকদের অভিযোগ, ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে বেলাব ও রায়পুরা থানা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন সংযোগ সড়কে চলাচলকারী সিএনজি, অটোরিক্সা, বিভাটেক গাড়ি অন্যায়ভাবে আটক করে। এসময় বড় অংকের ঘুষ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটককৃত গাড়ি ছেড়ে দেয়। তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ না দিলে গাড়ি ভৈরব হাইুয়ে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ অটোরিক্সা ও বিভাটেক গাড়ি আটক করে ভাংচুর, গাড়ির টায়ার কেটে দেয়া, গর্তে ফেলা দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে থাকে।
শনিবারও বারৈচা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের সীমানার পাশ থেকে অন্যায়ভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক করে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ। আটকের পর সিএনজি অটোরিকশা ভৈরব হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষুদ্ধ চালকরা পুলিশের গাড়ীর চাবি ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ীসহ পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে।


বারৈচা-রায়পুরা সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালক আনোয়ার, মারজান হোসেন, বিভারটেক চালক কামালসহ একাধিক চালক অভিযোগ করে বলেন, প্রায়ই ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ আমাদের গাড়ি আটক করে নিয়ে যায়। পরে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে গাড়ি আনতে হয়। টাকা না দিলে অনেক সময় তারা গাড়ির টায়ার কেটে দেয়, ভাঙচুর করে গর্তে ফেলে দেয়।
সিএনজি চালক পারভেজ অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে হাইওয়ে ভৈরব থানা পুলিশ আমার সিএনজি আটক করে। পরে আমি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে গাড়ি ফেরত আনি।


তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, থ্রি-হুইলার চালকরা নিষেধাজ্ঞার পরও অন্যায়ভাবে সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক বিভাটেক গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে উঠে একারণে তাদের গাড়ি আটক করা হয়। আজকেও একটি সিএনজি সরকারী নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে উঠে গেলে পুলিশ সিএনজিটি আটক করে। পরে চালকরা অন্যায়ভাবে একজোট হয়ে পুলিশের গাড়ি মহাসড়কে আটকিয়ে রাখে।
ঘটনাস্থলে থাকা ভৈরব হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল করা নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তারা এসব গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে উঠে। এসময় আমাদেরকে দেখে তারা ভিতরের রাস্তায় চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে আমরা তাদের আটক করি। পরে তারা অন্যায়ভাবে একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে।

ভৈরব হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন উর রশিদ হয়রানী ও ঘুষ বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছি। সিএনজি চালকরা মহাসড়কে উঠায় তাদের গাড়ি আটক করা হয়। কিন্তু পরে চালকরা বেআইনিভাবে পুলিশের গাড়ি মহাসড়কে আটকিয়ে চাবি নিয়ে যায়। মহাসড়কে এসব চালকদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 



এই বিভাগের আরও