শহরতলীতে গরু বিক্রয় কেন্দ্র খুললেন চরাঞ্চলের খামারী

১৪ জুলাই ২০২১, ০৩:২৭ পিএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ পিএম


শহরতলীতে গরু বিক্রয় কেন্দ্র খুললেন চরাঞ্চলের খামারী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনা মহামারিতে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন জায়গায় গরুর হাট বন্ধ থাকা ও কোথাও হাট বসানো হলেও সীমিত আকারে হওয়ায় কোরবানির পশু বিক্রি করা নিয়ে শংকায় পড়েছেন খামারিরা। লোকসান থেকে রক্ষা পেতে রায়পুরার চরাঞ্চলের খামারে লালন পালন করা গরু বিক্রির জন্য জেলা সদরে বিক্রয় কেন্দ্র চালু করেছেন মজিবর শিকদার নামে এক খামারী। নরসিংদী শহরতলীর নরসিংদী-রায়পুরা সড়কের বাদুয়ারচর ব্রিজ সংলগ্ন ছনপাড়া এলাকায় এই বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।  

গ্রীণ এগ্রো ফার্ম নামে ওই গরুর খামার মালিক মজিবর শিকদার বলেন, মূলত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলের চরমধুয়ায় তাঁর খামারের অবস্থান। কোরবানী ঈদকে ঘিরে তাঁর খামারে দেশিয় পদ্ধতির খাবার খাইয়ে ৮০টি গরু প্রতিপালন করা হয়। করোনা মহামারিতে লকডাউনের কারণে বিভিন্ন জায়গায় গরুর হাট বসেনি। দুর্গম চরাঞ্চলে অবস্থিত খামারেও ক্রেতারা যেতে চাইছেন না। এতে কোরবানির গরু বিক্রি করা নিয়ে শংকায় পড়েছেন তিনি। এসব গরু বিক্রির জন্য সদর উপজেলার শহরতলীর বাদুয়ারচর ব্রিজ সংলগ্ন ছনপাড়া এলাকায় খুলেছেন গরু বিক্রয় কেন্দ্র। এখানে সীমিত আকারে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রয় করা হচ্ছে কোরবানীযোগ্য গরু। ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কোরবানির গরু প্রস্তুত রয়েছে এই বিক্রয় কেন্দ্রে। শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, দেশাল ও অষ্টালসহ বিভিন্ন জাতের এসব গরু কিনতে ক্রেতারাও আসছেন। তবে বেচাকেনা সন্তোষজনক না হলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান এই খামারী।

জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, নরসিংদীর ৬ উপজেলায় ৬ হাজার ৭ শত ৬২ জন খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজা করেছেন। এ বছর জেলায় ৫৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে গরু ও মহিষসহ ৬০ হাজার ৯১০টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত হয়েছে। এর বাইরেও পারিবারিকভাবে আনুমানিক ১০/১২ হাজার কৃষক ১-২টি করে কোরবানির পশু মোটাতাজা করেছেন।



এই বিভাগের আরও