নরসিংদীতে সরবরাহ বাড়ায় কমছে শীতকালীন শাকসবজির দাম

০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:০১ এএম | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম


নরসিংদীতে সরবরাহ বাড়ায় কমছে শীতকালীন শাকসবজির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে সবজির পাইকারী বাজারগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ। এতে প্রতি সপ্তাহেই কমে আসছে সবধরনের শাকসবজির দাম। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে শীতের আগাম শাকসবজির আশাব্যঞ্জক ফলন না পেলেও এখন সবধরনের সবজির উৎপাদন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।



কৃষক ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নরসিংদীর ৬ উপজেলায় শীতকালীন আগাম শাকসবজির আবাদ করেও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকরা। এতে সবজির বাজারগুলোতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায় শীতকালীন শাকসবজির। অতিবৃষ্টি কাটিয়ে দফায় দফায় চারা তৈরির পর এখন শাকসবজির উৎপাদন বাড়িয়েছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বেড়েছে ফুলকপি, লালশাক, লাউ, মুলা, সীম, ঢেড়শ, কুমড়া, বেগুনসহ অন্যান্য শীতকালীন সবজির।

শীতের শুরুতে পাইকারী বাজারগুলোতে তেমন সরবরাহ না থাকলেও এখন বাড়ছে সবধরনের শাকসবজির সরবরাহ। জেলার ৯টি পাইকারী সবজির বাজার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারী ক্রেতারা এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব শাকসবজি। রাজধানী ঢাকার চাহিদার প্রায় ৪০ ভাগ সবজির সরবরাহ হয়ে থাকে নরসিংদী জেলা থেকে।


সবজির উৎপাদন বাড়ার সাথে সাথে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি সপ্তাহেই কমে আসছে সবধরণের সবজির দাম। বিগত দুই সপ্তাহে সবধরনের সবজি প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও পাইকারী ক্রেতারা। পুরোদমে সবজির উৎপাদন শুরু হলে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান তারা।



শিবপুর উপজেলার পালপাড়া এলাকার কৃষক হারিছ মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে শীতের আগাম সবজির ফলন না হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন সবধরণের সবজিই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। সবজির উৎপাদন বাড়ায় দামও কমে আসছে।

একই উপজেলার খড়কমারা গ্রামের কৃষক কামাল খান বলেন, এবছর বৃষ্টির কারণে শীতের আগাম সবজি উৎপাদন না হওয়ায় সবজি চাষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এখন উৎপাদন বাড়ছে তবে দাম যদি বেশি কমে যায় আবারও লোকসান গুনতে হবে।  

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শোভন কুমার ধর নরসিংদী টাইমসকে বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সবজির পুরো উৎপাদন শুরু হলে সবজির দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। উৎপাদন কম হলে দাম বেশি পেলেও কৃষকরা লাভবান হতে পারেন না। আশাব্যঞ্জক ফলন পাওয়া গেলে দাম কিছুটা কম হলেও কৃষকরা লাভবান হবেন।


চলতি মৌসুমে জেলায় শীতকালীন শাকসবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় সাড়ে ৯ হাজার ৯ শত ৮৩ হেক্টর জমি। এরমধ্যে ৮ হাজার ৮ শত ৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বলে জানান তিনি।



এই বিভাগের আরও